ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওরা এখন আত্মঘাতী

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৭ মার্চ ২০১৬

ওরা এখন আত্মঘাতী

ক্যামেরুনের উত্তরাঞ্চলে এক সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে শুক্রবার নিজেকে উড়িয়ে দেয়ার আগেই তাকে আটকে দেয়া হয়। এরপর সে স্বীকার করে যে, সে নাইজিরিয়ায় চিবোক শহরে ২০১৪ সালে বোকো হারামের হাতে অপহৃত ২শ ১৯ স্কুলছাত্রীর মধ্যে একজন। সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় সরকারী সূত্র এ কথা বলেছে। ক্যামেরুনের ঐ এলাকায় লিমানি গ্রামে স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা বিস্ফোরকসহ ২টি মেয়েকে আটক করে। এলাকাটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায়ই আত্মঘাতী বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তাদের এরপর বহুজাতিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত ক্যামেরুনীয় সৈন্যদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। বোকো হারামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গঠন করা হয় বহুজাতিক বাহিনী। ঐ অপহৃত মেয়েদের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে তৈরি করেছে বোকো হারাম। অপহরণের দু’বছর পরও মেয়েদের উদ্ধার করতে পারেনি সরকার। বোকো হারামের জঙ্গীরা ২০১৪য়ের এপ্রিলে চিবোকে মেয়েদের স্কুলে ঐ হামলা চালায়। মেয়েরা তখন পরীক্ষা দিচ্ছিল। জঙ্গীরা ২শ’৭০ জন মেয়েকে ট্রাকে বোঝাই করে পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন কিছুক্ষণ পর পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এ ভয়াবহ অপহরণ ঘটনায় সারা বিশ্বে ক্ষোভ-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। স্থানীয় সরকারের প্রশাসক রেমন্ড রক্সডো বলেছেন, আটক দুই মেয়ের একজন জোর দিয়ে বলেছে, সে চিবোক জিম্মিদের একজন। তার বয়স প্রায় ১৫ বছর। তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। কারণ, নাইজিরীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ঐ মেয়েদের নাম ও ছবি রয়েছে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে দুই সামরিক সূত্র নিশ্চয়তা প্রকাশ করে বলেছে, মেয়েটি চিবোকে অপহৃতদের একজন বলে দাবি করেছে। এক সামরিক সূত্রে বলা হয়, এ তথ্য নিশ্চিত করতে আমাদের কয়েকদিন সময় লাগবে। অপহরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করায় সমালোচনার মুখে পড়েন। আরেক নাইজিরীয় প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন। নাইজিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশাল এলাকা দখল করেছিল বোকো হারাম। ঐ অপহরণ সত্যিই ঘটেছিল কিনা এবং কতগুলো মেয়ে অপহৃত হয়েছিল তা নিশ্চিত করার জন্য প্রায় এক মাস আগে এক তথ্যানুসন্ধানী কমিটি চিবোক সফর করে। গত বছর ক্ষমতায় আসা নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুহারি জানুয়ারিতে অপহরণ ঘটনার নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। Ñটেলিগ্রাফ।
×