ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদ দমন র‌্যাবের মৌলিক দায়িত্ব ॥ ডিজি

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৭ মার্চ ২০১৬

 জঙ্গীবাদ দমন  র‌্যাবের  মৌলিক  দায়িত্ব ॥ ডিজি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‌্যাবকে আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছেন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। দেশব্যাপী জঙ্গী তৎপরতাসহ অপরাধমূলক কর্মকা- দমনে গোয়েন্দা সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গোয়েন্দা সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরী এজন্য যে, কাউন্টার টেরোরিজম অপারেশনের মূল হলো গোয়েন্দা সক্ষমতা। এলিট ফোর্সের মৌলিক দায়িত্বই জঙ্গীবাদ দমন। এজন্য গোয়েন্দা সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছি। শনিবার সকালে সদর দফতরে র‌্যাবের দ্বাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন বেনজীর আহমেদ। এ সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশে সে ধরনের ঘটনা ঘটলে কিভাবে মোকাবেলা করবেনÑ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যখন দেখি আমাদের অঞ্চলে কোন দেশ জঙ্গীবাদে আক্রান্ত হয়, দূর প্রতিবেশী কোন দেশ আক্রান্ত হয় বা সুদূর পশ্চিমে কোন দেশ আক্রান্ত হয়, তখন কিন্তু আমরা তা থেকে আমাদের যা লেসন তা গ্রহণ করি। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় কী হতে পারে সেটি নির্ধারণ করে সতর্কতামূলক, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কী হতে পারে তা হালনাগাদ করে নিজেদের পরিকল্পনাকে বিন্যস্ত করি। গঠনের পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের সমালোচনা নিয়ে চলতে হচ্ছে র‌্যাবকে। আবার আদালত থেকে আসা নির্দেশনায় বাহিনীর তদন্ত সক্ষমতাও বাড়াতে বলা হয়েছে। বেনজীর বলেন, যদি সুপ্রীমকোর্ট বা চীফ জাস্টিস কোন নির্দেশনা দেন, সেটি আমরা অনুসরণ করব। বাংলাদেশে র‌্যাব নির্ধারিত বিষয়ে তদন্ত করে, সব বিষয়ে তদন্ত করে না। রাষ্ট্র, সরকার র‌্যাবকে যে তদন্ত দেয় সেটি র‌্যাব তদন্ত করে। তার সংখ্যা কিন্তু বেশি নয়। বেনজীর বলেন, র‌্যাবের সর্বাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল ডাটাবেজও তৈরি করেছে তারা। এর সবই তদন্তের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগছে। র‌্যাবে বাছাই করা সদস্যরা কাজ করে। তদন্তের মান সন্তোষজনক। তবে এটা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না। ডেফিনেটলি ক্যাপাসিটি আরও বৃদ্ধি করতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান, গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকাল আটটায় র‌্যাব ফোর্সেস সদর দফতরে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। সকাল সোয়া আটটার দিকে র‌্যাব মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার শুরু করেন। শুরুতেই স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সব দেশপ্রেমিক অকুতোভয় সহকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। সকাল নয়টার দিকে আত্মত্যাগকারী র‌্যাব সদস্যদের পরিবারকে বিশেষ সম্মানী প্রদান, বিশেষ সম্মেলন, আভিযানিক ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য র‌্যাব সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, প্রীতিভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
×