ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৪৫ বছর পর সন্ধান মিলেছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের

প্রকাশিত: ০১:২০, ২৬ মার্চ ২০১৬

৪৫ বছর পর সন্ধান মিলেছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হায়েনাদের গুলিতে শহীদ হওয়া উপজাতি সাহসী যোদ্ধা পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির লাপ্রে ম্রো এর সন্তানের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা। বান্দরবানের এ শহীদের একমাত্র সন্তান সিনতন ম্রো এর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খবরা খবর নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। লাপ্রে ম্রো পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাঁর সহযোদ্ধা কক্সবাজারের রামুর মোজাফ্ফর আহম্মদ এবং রমেশ বড়ুয়া। দীর্ঘ ৪৫বছর ধরে পাহাড়ে জুম চাষ করে জীবন সংগ্রামে এখনও বেঁচে আছেন তাঁর এক মাত্র সন্তান সিনতন ম্রো। ওই শহীদের রেখে যাওয়া সন্তানের পরিবারটির বর্তমান বসবাস পাহাড়ের চুঁড়ায়। স্বাধীনতার পর ৪৫ বছর ধরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লাপ্রে ম্রো’র সন্তানের পরিবার শুধু জুম চাষের সাধ গ্রহণ করে চলছে। স্বাধীনতার সাধ কী-তা এখনও বুঝতে পারেন নি । বাবা স্বাধীনতার জন্যে জীবন দিলেও এখনও রাষ্ট্রের কোন সুযোগ সুবিধা পাননি তারা। দেশে রনাঙ্গনে ইতিহাসে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন, লাপ্রে ম্রো তাঁদেরই একজন। দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর পর শহীদ লাপ্রে ম্রো’র একমাত্র সন্তানকে খুঁজে বের করেছেন তাঁর সহযোদ্ধা রামু উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহম্মদ এবং মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়ুয়া। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লাপ্রে ম্রো’র সন্তান সিনতন ম্রোকে সঙ্গে নিয়ে ২৬ মার্চ রাতে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা। লাপ্রে ম্রো রনাঙ্গনে শহীদ হয়েছেন জানিয়ে তাঁর সহযোদ্ধা রামুর মোজাফ্ফর আহম্মদ এবং রমেশ বড়ুয়া বলেন, ওইদিন একই পথে এগোলে লাপ্রে ম্রো এর সঙ্গে তাঁরাও শহীদ হতেন। লাপ্রে ম্রো কেবল যোদ্ধা নন, তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার, পানি এবং আশ্রয় থেকে শুরু করে অনেক সেবা দিয়ে গেছেন। এমনকি নিজের বাড়িটি পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার সন্তান ২৪ বছরের টকবগে যুবক সিনতন ম্রোও যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছিলেন। তাঁরা আরও জানান, লাপ্রে ম্রো অভয় দেয়ার জন্য অত্যাচারিত পরিবারগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং বিরোচিত সাহস যোগাতেন। বহু মুক্তিযোদ্ধা সরকারের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। অথচ বান্দরবান জেলার একমাত্র শহীদ ব্যক্তির সন্তান সিনতন ম্রো’দের পেটে ভাত নেই, মাথা গুজার ঠাইও নেই। বসবাস করছেন পাহাড়ের চূড়ায় ঝুপড়িতে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে শুরু করে কোন ধরণের নুন্যতম সুযোগ-সুবিধাও পাননি তাঁর পরিবার। সূত্র জানায়, মিয়ানমার সীমান্তের দূর্গম ও গহীণ অরণ্য ঘেরা পাহাড়ী গ্রাম কুরুপপাতা ঝিরি এলাকা থেকে এ শহীদ পরিবারের একমাত্র সদস্য সিনতন ম্রো (মুরুং) কে বৃস্পতিবার বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শাহেদুল ইসলামের কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছান কয়েক মুক্তিযোদ্ধা। ইউএনও বলেন, তার কোন সন্ধান মেলেনি বলেই সুযোগ সুবিধাগুলো যথা সময়ে বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন সন্ধান পাওয়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাব। সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শহীদ লাপ্রে ম্রো এর পরিবার এত দীর্ঘ সময় ধরে কোন ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাননি। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আশ্বস্থ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক শফি উল্লাহর সঙ্গে শনিবার বিকেলে দৈনিক জনকণ্ঠের কক্সবাজার অফিসে এসে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিনতন ম্রো জানান, হানাদার বাহিনী তার পিতাকে অন্তত ৫টি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ২৫ ঘরের পুরো পাড়াটি জ্বালিয়ে দেয়। তাদের মোট ৩০ হাজার কেজি ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধ্বংসষজ্ঞ চালানোর পর হানাদার বাহিনী ফিরে গেলেও এ গ্রামের ম্রো পরিবাররা সেই গ্রামে আর ফিরে আসে নি। তিনি জানান, পিতাকে হারিয়ে পুরো পরিবার গ্রামছাড়া হয়ে পাহাড়ের পর পাহাড় শুধু ঘুরে বেড়িয়েছি ৪৫ বছর। স্বাধীনতার জন্যে বাবাকে হারিয়ে প্রথমে আশ্রয় গ্রহণ করি নাইক্ষ্যংছড়ি কামিরছড়া মৌজার রেয় পাড়ায়। ১৯৯৮ সালের পর সেখান থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী আলীকদম উপজেলার চাইম্প্রা মৌজার ক্রিওয়াই পাড়ায় গমন করি। কয়েক বছর পর আবারও স্থান বদল করে বর্তমান কুরুপপাতা ঝিরি গ্রামে বসবাস করে চলছি। স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তিনি। রামু উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজাফ্ফর আহমদ ও মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়ুয়া জানান, কক্সবাজার ও বান্দরবানের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ছিল বর্তমান নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীর আলিক্ষং নতুন মুরং পাড়া এলাকায়। প্রায় অর্ধ-শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এখানে অবস্থান করে লামা থেকে কক্সবাজার-রামু-টেকনাফ পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসরদের উপর সুযোগ বুঝে হানা দিতেন। তারা সে রকম এক আঘাত হানেন কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে। একদিন হানাদার বাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় অতর্কিত হামলা করে মুক্তিযোদ্ধাদের এই অঞ্চলের একমাত্র ঘাঁটিতে। সেদিন এ ঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন ৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধা। যেখানে ছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লাপ্রে মুরংও। তিন শতাধিক হানাদারের সদস্য সেদিন এ আলিক্ষ্যং ঘাঁটিঁ ধ্বংসের মিশনে অংশ নিয়েছিলো। তারা আরও জানান, ওইদিন ২ ঘন্টার সম্মুখযুদ্ধে ১০ জন হানাদার মারা যায়, আর মুক্তিবাহিনীর পক্ষে শহীদ হন মাত্র একজন। তিনি হলেন লাপ্রে ম্রো। ॥ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হায়েনাদের গুলিতে শহীদ হওয়া উপজাতি সাহসী যোদ্ধা পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির লাপ্রে ম্রো এর সন্তানের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা। বান্দরবানের এ শহীদের একমাত্র সন্তান সিনতন ম্রো এর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খবরা খবর নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। লাপ্রে ম্রো পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাঁর সহযোদ্ধা কক্সবাজারের রামুর মোজাফ্ফর আহম্মদ এবং রমেশ বড়ুয়া। দীর্ঘ ৪৫বছর ধরে পাহাড়ে জুম চাষ করে জীবন সংগ্রামে এখনও বেঁচে আছেন তাঁর এক মাত্র সন্তান সিনতন ম্রো। ওই শহীদের রেখে যাওয়া সন্তানের পরিবারটির বর্তমান বসবাস পাহাড়ের চুঁড়ায়। স্বাধীনতার পর ৪৫ বছর ধরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লাপ্রে ম্রো’র সন্তানের পরিবার শুধু জুম চাষের সাধ গ্রহণ করে চলছে। স্বাধীনতার সাধ কী-তা এখনও বুঝতে পারেন নি । বাবা স্বাধীনতার জন্যে জীবন দিলেও এখনও রাষ্ট্রের কোন সুযোগ সুবিধা পাননি তারা। দেশে রনাঙ্গনে ইতিহাসে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হয়েছেন, লাপ্রে ম্রো তাঁদেরই একজন। দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর পর শহীদ লাপ্রে ম্রো’র একমাত্র সন্তানকে খুঁজে বের করেছেন তাঁর সহযোদ্ধা রামু উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহম্মদ এবং মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়ুয়া। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লাপ্রে ম্রো’র সন্তান সিনতন ম্রোকে সঙ্গে নিয়ে ২৬ মার্চ রাতে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা। লাপ্রে ম্রো রনাঙ্গনে শহীদ হয়েছেন জানিয়ে তাঁর সহযোদ্ধা রামুর মোজাফ্ফর আহম্মদ এবং রমেশ বড়ুয়া বলেন, ওইদিন একই পথে এগোলে লাপ্রে ম্রো এর সঙ্গে তাঁরাও শহীদ হতেন। লাপ্রে ম্রো কেবল যোদ্ধা নন, তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার, পানি এবং আশ্রয় থেকে শুরু করে অনেক সেবা দিয়ে গেছেন। এমনকি নিজের বাড়িটি পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার সন্তান ২৪ বছরের টকবগে যুবক সিনতন ম্রোও যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছিলেন। তাঁরা আরও জানান, লাপ্রে ম্রো অভয় দেয়ার জন্য অত্যাচারিত পরিবারগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং বিরোচিত সাহস যোগাতেন। বহু মুক্তিযোদ্ধা সরকারের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। অথচ বান্দরবান জেলার একমাত্র শহীদ ব্যক্তির সন্তান সিনতন ম্রো’দের পেটে ভাত নেই, মাথা গুজার ঠাইও নেই। বসবাস করছেন পাহাড়ের চূড়ায় ঝুপড়িতে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে শুরু করে কোন ধরণের নুন্যতম সুযোগ-সুবিধাও পাননি তাঁর পরিবার। সূত্র জানায়, মিয়ানমার সীমান্তের দূর্গম ও গহীণ অরণ্য ঘেরা পাহাড়ী গ্রাম কুরুপপাতা ঝিরি এলাকা থেকে এ শহীদ পরিবারের একমাত্র সদস্য সিনতন ম্রো (মুরুং) কে বৃস্পতিবার বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শাহেদুল ইসলামের কার্যালয় পর্যন্ত পৌঁছান কয়েক মুক্তিযোদ্ধা। ইউএনও বলেন, তার কোন সন্ধান মেলেনি বলেই সুযোগ সুবিধাগুলো যথা সময়ে বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন সন্ধান পাওয়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাব। সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শহীদ লাপ্রে ম্রো এর পরিবার এত দীর্ঘ সময় ধরে কোন ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাননি। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আশ্বস্থ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক শফি উল্লাহর সঙ্গে শনিবার বিকেলে দৈনিক জনকণ্ঠের কক্সবাজার অফিসে এসে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিনতন ম্রো জানান, হানাদার বাহিনী তার পিতাকে অন্তত ৫টি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ২৫ ঘরের পুরো পাড়াটি জ্বালিয়ে দেয়। তাদের মোট ৩০ হাজার কেজি ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধ্বংসষজ্ঞ চালানোর পর হানাদার বাহিনী ফিরে গেলেও এ গ্রামের ম্রো পরিবাররা সেই গ্রামে আর ফিরে আসে নি। তিনি জানান, পিতাকে হারিয়ে পুরো পরিবার গ্রামছাড়া হয়ে পাহাড়ের পর পাহাড় শুধু ঘুরে বেড়িয়েছি ৪৫ বছর। স্বাধীনতার জন্যে বাবাকে হারিয়ে প্রথমে আশ্রয় গ্রহণ করি নাইক্ষ্যংছড়ি কামিরছড়া মৌজার রেয় পাড়ায়। ১৯৯৮ সালের পর সেখান থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী আলীকদম উপজেলার চাইম্প্রা মৌজার ক্রিওয়াই পাড়ায় গমন করি। কয়েক বছর পর আবারও স্থান বদল করে বর্তমান কুরুপপাতা ঝিরি গ্রামে বসবাস করে চলছি। স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তিনি। রামু উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজাফ্ফর আহমদ ও মুক্তিযোদ্ধা রমেশ বড়ুয়া জানান, কক্সবাজার ও বান্দরবানের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ছিল বর্তমান নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীর আলিক্ষং নতুন মুরং পাড়া এলাকায়। প্রায় অর্ধ-শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এখানে অবস্থান করে লামা থেকে কক্সবাজার-রামু-টেকনাফ পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসরদের উপর সুযোগ বুঝে হানা দিতেন। তারা সে রকম এক আঘাত হানেন কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে। একদিন হানাদার বাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় অতর্কিত হামলা করে মুক্তিযোদ্ধাদের এই অঞ্চলের একমাত্র ঘাঁটিতে। সেদিন এ ঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন ৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধা। যেখানে ছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা লাপ্রে মুরংও। তিন শতাধিক হানাদারের সদস্য সেদিন এ আলিক্ষ্যং ঘাঁটিঁ ধ্বংসের মিশনে অংশ নিয়েছিলো। তারা আরও জানান, ওইদিন ২ ঘন্টার সম্মুখযুদ্ধে ১০ জন হানাদার মারা যায়, আর মুক্তিবাহিনীর পক্ষে শহীদ হন মাত্র একজন। তিনি হলেন লাপ্রে ম্রো।
×