ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আওয়ামীলীগ নেতাকে পিটিয়ে ডোবায় ফেলে দিয়েছে ক্যাডারেরা

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ২৬ মার্চ ২০১৬

আওয়ামীলীগ নেতাকে পিটিয়ে ডোবায় ফেলে দিয়েছে ক্যাডারেরা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা মোতালেব ফকিরকে শুক্রবার রাতে মুখ বেঁধে বেপরোয়া পিটিয়ে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় ডোবায় ফেলে দিয়েছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের উচ্ছৃংখল কতিপয় ক্যাডার। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হলেও হামলাকারীদের হুমকীর কারনে হাসপাতালে নেওয়া যায়নি। শনিবার সকালে বাড়িতে ডাক্তার ডেকে তার চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আহত মোতালেব মধ্য কচুবুনিয়া গ্রামের ইদ্রিস ফকিরের ছেলে এবং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সম্পর্কে মোতালেব ফকিরের স্ত্রী নাজমীন বেগম অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় বড়শিবাওয়া বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে মুখ বেধে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। ইউপি নির্বাচনের জের ধরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় এমপির ভাইয়ের ছেলে নুরুজ্জামান তার বাহিনী নিয়ে আমার স্বামীকে মারপিট করেছে। অথচ আমরা এমপি সাহেবের কথামত ভোট দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালী ওই নুরুজ্জামান বাহিনীর ভয়ে এখন বাড়ির বাইরে যেতে পারছি না। এছাড়া, শনিবার ভোররাতে একই উপজেলার পঞ্চনকরণ ইউনিয়নের খারইখালী এলাকায় ‘আফজাল ষ্টোর’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। মালিক শেখ আফজাল হোসেনকে পিটিয়ে আহত করার দু’দিন পর তার দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে দোকানে থাকা টিভি, ফ্রিজ, ডিভিডিসহ সকল মালামাল পুড়ে প্রয় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, এসব ঘটনা কেউ অবগত করেনি। অপরদিকে, শরণখোলায় ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রামে ভোট না দেয়ার অপরাধে মরিয়ম বেগম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে বেধড়ক পিটিয়েছে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা। প্রার্থীর ছেলের নেতৃত্বে ওই বৃদ্ধার গোপন অঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে পৈচাশিক নির্যাতনের চেষ্টা করা হয। আক্রান্তরা অভিযোগ করেন, মেম্বার প্রার্থী রহমান পরাজিত হওয়ার জের ধরে প্রতিবেশি বাবুল হাওলাদারের বাড়ীতে প্রার্থীর ছেলে মিজানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল হামলা করে। বাবুলকে না পেয়ে ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে। তারা বাবুলের স্ত্রী খাদিজা বেগম(৪৫) ও বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম(৭৫) বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এসময় বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের গোপন অঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে পৈশাচিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। তখন আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। হামলাকারীরা আহতদের হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয়। তবে পরাজিত আ; রহমান ও তার ছেলে মিজান এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন। এদিকে, শরণখোলায় উপজেলার পূর্বখোন্তাকাটা ও সোনাতলা এলাকায় রাতে নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে দুটি বসতঘর, গোয়ালঘরসহ ৭টি খড়ের গাদায় অগ্নি সংযোগ করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ৫ ব্যাক্তি আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ফিরোজা বেগম(৩০), মনিরা (১৭) ও মিরাজ খলিফাকে(১৫) শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
×