ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব ক্রিকেটের চাঞ্চল্যকর দশ ম্যাচ ফিক্সিং

প্রকাশিত: ২১:০৬, ২৫ মার্চ ২০১৬

 বিশ্ব ক্রিকেটের চাঞ্চল্যকর দশ ম্যাচ ফিক্সিং

অনলাইন ডেস্ক ॥ ম্যাচ ফিক্সিং। আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে ঘৃণ্য দু’টি শব্দ। বাইশ গজের এই প্রবল বিনোদনের সঙ্গে বারেবারেই উঠে এসেছে এই শব্দ দু’টি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে নাম জড়িয়ে কারও হয়েছে চির নির্বাসন, কেউ বা আবার নির্বাসন কাটিয়ে ফিরে এসেছেন স্বমহিমায়। সঙ্গের গ্যালারিতে দেখে নেওয়া বিশ্ব ক্রিকেটে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তেমনই দশ ঘটনা। ০১. হ্যান্সি ক্রোনিয়ে: ২০০০ সালে সেই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ের বিরুদ্ধে। প্রথমে অভিযোগ মিথ্যা বললেও পরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করেন ক্রোনিয়ে।০২. শ্রীসন্থ: আইপিএলের তো বটেই, ভারতীয় ক্রিকেটেরও সবচেয়ে বড় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মধ্যে অন্যতম এটি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে শ্রীসন্থ, অজিত চান্দিলা এবং অঙ্কিত চহ্বণকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ০৩. জয় জাদেজা: ৯০-এর দশকে ভারতের অন্যতম সেরা ফিল্ডার এবং ব্যাটসম্যান অজয় জাদেজার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ১৯৯৮ সালে। বশে কয়েক বছর শাস্তি কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। ০৪. মহম্মদ আজহারউদ্দিন: ভারতীয় ক্রিকেটের এই স্টাইলিশ ডানহাতি অধিনায়কের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে ২০০০ সালে। বছর দু’য়েক আগে তাঁর উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। ০৫. সেলিম মালিক: একুশ শতকের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য ব্যান হয়েছিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক সেলিম মালিক। অভিযোগ কাটিয়ে ফিরে এসে বেশ কয়েক বছর খেলেন মালিক। পরে সারা জীবনের জন্য নির্বাসিত হন। ০৬. শেন ওয়ার্ন-মার্ক ওয়: ১৯৯৮ সালে এই দুই অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তীর নামে অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে দল এবং পিচ সংক্রান্ত তথ্য পাচারের। তুমুল আলোড়ণ ওঠে এই খবরে। দু’জনেই অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বিকার করেন। ০৭. সলমন বাট-মহম্মদ আসিফ-মহম্মদ আমের: ২০১০ সালে একটি স্টিং অপারেশনে ধরা পড়ে এই তিন পাক ক্রিকেটারের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর। নির্বাসিত হন তিন ক্রিকেটারই। সম্প্রতি নির্বাসন ভেঙে দলে ফিরেছেন আমের। ০৮. মার্ভিন ওয়েস্টফিল্ড: ইংল্যান্ডের অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার ওয়েস্টফিল্ডকে ২০১২ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় ওয়েস্টফিল্ড স্বীকার করেন, ইচ্ছা করে ওয়াইড করার জন্য ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। ০৯. মার্লন স্যামুয়েলস: ২০১২ সালে টি২০ বিশ্বকাপে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। আইসিসি তাঁকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করে। নির্বাসন কাটিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর। ১০. কালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দেশের অন্যতম সেরা জয়ের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ছিলেন। সেই ওদুম্বের বিরুদ্ধে ম্যাচে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণীত হলে পাঁচ বছর নির্বাসিত হন তিনি। নির্বাসন কাটিয়ে ২০০৯ সালে ফের মাঠে নামেন তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×