ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁচার লড়াই প্রোটিয়াদের

ক্যারিবীয়দের দৃষ্টি সেমিতে

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২৫ মার্চ ২০১৬

ক্যারিবীয়দের দৃষ্টি সেমিতে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা দুই ম্যাচ জিতে দারুণ অবস্থানে আছে ২০১২ সালের টি২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আরেকটি ম্যাচ জিতলেই চলমান টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ ১ থেকে সবার আগে সেমিফাইনালে পা রাখবে ক্যারিবীয়রা। তবে সেজন্য আরেকটি অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হবে তাদের। নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে তারা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। তবে ম্যাচে নামার আগেই দারুণ চাপে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ম্যাচ খেলে এক জয় আর এক পরাজয়ে বেশ অসুবিধাজনক পরিস্থিতিতে আছে তারা। আজ হারলেই সেমিতে ওঠার আশা প্রায় পুরোপুরিই শেষ হয়ে যাবে প্রোটিয়া শিবিরের। কারণ, গ্রুপ-১ এ শ্রীলঙ্কারও ২ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট এবং ৪ পয়েন্ট আছে ইংল্যান্ডের। এ কারণে জয়ের কোন বিকল্প খোলা নেই দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। সে লক্ষ্যেই নামবে তারা। বেশ নির্ভার এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্য দুই ফরমেটে দলটির জৌলুস ক্রমশ হারিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত টি২০ ক্রিকেটে দুর্দান্ত অবস্থানে আছে তারা। আর বিশ্বকাপ শুরুর আগেই সেই ঘোষণা দিয়েছিল ক্যারিবীয় দল। তাদের শক্তির মূল কারণ বিশ্বের ভয়ঙ্করতম ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল দলে আছেন। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিশ্বকাপ অভিযানটাও শুরু হয়েছে গেইলের ব্যাটিং তা-বে দারুণ জয়ের মাধ্যমে। ইংলিশদের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি মাত্র ৪৮ বলে। আর সে কারণেই ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহ অনায়াসে টপকে গেছে ক্যারিবীয়রা। এমন একটি জয় দিয়ে শুরুর কারণেই দলের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে অনেকখানি। সে কারণে পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাও পাত্তা পায়নি। লঙ্কানদের বিপক্ষে অবশ্য ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি তিনি। উত্তেজনায় টগবগ করে ড্রেসিং রুমের করিডরে হাঁটতে দেখা গেছে তাকে। তবে এবার ব্যাটিংয়ে নামতে উন্মুখ তিনি। সেভাবেই জোর অনুশীলনও করেছেন। তবে গেইল নামতে না পারলেও ক্যারিবীয়রা বুঝিয়ে দিয়েছে শুধু তারই ওপর নির্ভরশীল নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি২০ দল। দারুণ ব্যাটিং করেছেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস। এছাড়া মারলন স্যামুয়েলস ও আন্দ্রে রাসেলরা আছেন ফর্মে। যদিও অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো এখন পর্যন্ত জ্বলে উঠতে পারেননি। এরা সবাই জ্বলে উঠতে পারলে প্রোটিয়া শিবিরের কপালে দুঃখই লেখা আছে। অবশ্য ক্যারিবীয় বোলিংটা তেমন সুবিধা করতে পারেনি আগের দুই ম্যাচেই। এবার প্রোটিয়াদের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপকে ঠেকানোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে তাদেরও। এখন পর্যন্ত একবারই মাত্র নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয়েছে। ২০০৯ সালের টি২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দ্য ওভাল মাঠে অবশ্য ২০ রানে হেরে গিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। তারও আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠ জোহানেসবার্গে দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল। সেবারও প্রোটিয়া শিবির জয় তুলে নেয় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। বিশ্বকাপে মোকাবেলা এ দুটিই। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ ৭ বছর পর এবং তিন বিশ্বকাপ পর আবারও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে মর্যাদার বিশ্বকাপ মঞ্চেই মুখোমুখি লড়াই। দুই বিশ্বকাপে পরাজয়ের গ্লানি ঘুচাতে পারবে এবার ক্যারিবীয়রা। না কি দক্ষিণ আফ্রিকাই হাসবে আবার। প্রোটিয়াদের জন্য সেটা অতীব জরুরী। কারণ এবার জিততে না পারলে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কাটা ঘনীভূত হবে।
×