ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে কিশোরী ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৫ মার্চ ২০১৬

রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে কিশোরী ধর্ষণের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরীর সোনাদিঘী মোড়ে ‘ভাই ভাই’ আবাসিক হোটেলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী প্রেমিকা। বুধবার রাতে সেখানে ধর্ষণের শিকার হয় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। এ ঘটনায় হোটেল কর্মচারী ছাড়াও ওই কিশোরীর কথিত প্রেমিক খোকনও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ওই কিশোরী এখন হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। ওই কিশোরী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আমনুরা এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা কথিত প্রেমিক খোকন। পেশায় রাজমিস্ত্রি খোকন গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। বিয়ের প্রলোভোনে বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে নিয়ে ভাই ভাই আবাসিক হোটেলে ওঠেন খোকন। সেখানেই রাতভর তার উপর চলে পাশবিকতা। পরে ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বন্ধু অটোরিকশা চালক রনির সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠান খোকন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। রনি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকার দলিল ম-লের ছেলে। তিনিই সকাল সাতটার দিকে অটোরিকশায় করে ওই কিশোরীকে হাসপাতালের নেন। পুলিশ জানায়, হোটেলের কর্মচারীদের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়। প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ ভাই ভাই আবাসিক হোটেলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার মরিচ্চা এলাকার তিন কিশোরীর উপর পাশবিকতার চেষ্টা চালায় হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা। ওই ঘটনায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হোটেলের ম্যানেজার ডালিমসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করে ওই কিশোরীদের পরিবার। নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় ওই হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে নানান অপকর্ম চলে আসছে। বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালানেও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না এসব অপকর্ম। নাটোরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর থেকে জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমানের (২৮) বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিত ছাত্রী বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে শিক্ষক জিয়াউর পলাতক রয়েছেন। জানা যায়, পার্শ্ববর্তী তাড়াশ উপজেলার হেমনগর গ্রামের ওই ছাত্রী মশিন্দা বাহাদুরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাছে হওয়ায় সেখানে ভর্তি হয়। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমানের কাছে প্রাইভেট পড়ত সে। এরই মাঝে সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে ওই লম্পট শিক্ষক। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই শিক্ষক। সম্প্রতি জিয়াউর রহমান অন্যত্র বিয়ে করলে ধর্ষিতা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন না হওয়ায় শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
×