ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি দু’রাষ্ট্র সমাধান আলোচনা শুরু করতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু তিনি বলেন, তার ফিলিস্তিনী প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আব্বাসের এ ইচ্ছা নেই। খবর আল জাজিরা অনলাইনের।
তিনি মঙ্গলবার জেরুজালেম থেকে উপগ্রহযোগে আমেরিকান ইসরাইল পাবলিক এফেয়ার্স কমিটির (আইপ্যাক) সম্মেলনে ঐ মন্তব্য করছিলেন। আইপ্যাক ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইল সমর্থিত একটি লবিং গ্রুপ। নেতানিয়াহু বলেন, আমি কোন পূর্বশর্ত ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা শুরু করতে চাই যে কোন সময় যে কোন স্থানে। তার উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, তার ফিরিস্তিনী প্রতিপক্ষ আব্বাস সে ধারণাই সমর্থন করেন না। নেতানিয়াহু এ কথাও বলেন যে, তার প্রত্যাশা, ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থন জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনয়নের যে কোন উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব আনয়ন ফিলিস্তিনী অবস্থান আরও কঠিন হয়ে উঠবে এবং তাই অনেক অনেক বছর ধরে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ সত্যিকারভাবেই বিনষ্ট করে দেবে এবং সে জন্যই আমি আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের জাতিসংঘ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এর দীর্ঘদিনের অবস্থান বজায় রাখবে। ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের কোন প্রস্তাবে শান্তি আসবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, দুই জাতির জন্য দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই শান্তি অর্জনের সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় সামরিক বাহিনীমুক্ত একটি ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে স্বীকার করে নেবে ইহুদি রাষ্ট্রকে।
ইয়েমেনে ১০ এপ্রিল থেকে যুদ্ধবিরতি
ইয়েমেনে বিবদমান পক্ষগুলো আগামী ১০ এপ্রিল থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বুধবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইসমাইল উলদ শেখ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের এই দূত জানান, ১০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হবে। কুয়েতে এই শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে। পরে হাদি সৌদি আরব পালিয়ে যান। হাদিকে সমর্থন জানিয়ে হুতিদের উচ্ছেদে ওই বছরের মার্চ থেকে ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃৃত্বাধীন আরব জোট। জোটের হামলায় গত এক বছরে দেশটিতে ৬ হাজার ৩০০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।