ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বকাপের ১০ সেরা নেলবাইটিং ম্যাচ

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ২৪ মার্চ ২০১৬

বিশ্বকাপের ১০ সেরা নেলবাইটিং ম্যাচ

অনলাইন ডেস্ক ॥ টি-২০ বিশ্বকাপের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বুধবার রাতেই বাংলাদেশকে এক রানে হারিয়েছে ভারত। ফরম্যাটের জন্য টি-২০ ম্যাচের নেল বাইটিং এন্ডিংটাই দস্তুর। ওয়ান ডে-তেও কিন্তু রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সংখ্যা কম নয়। এই ভরা টি-২০ মরসুমে সেরা ১০ ওয়ান ডে ওয়ার্ল্ডকাপ ম্যাচ মনে করিয়ে দিয়ে তৈরি আমাদের গ্যালারি। ০১.২০০৭, শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড: সুপার এইটে এই ম্যাচটা জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৩৫।কিন্তু শেষ বলে দু’রান যখন দরকার, তখন বোপারার উইকেট খুইয়ে ম্যাচটাও মাঠে ছেড়ে আসে ইংল্যান্ড। ০২ . ১৯৮৭, অস্ট্রেলিয়া-ভারত: শেষ ওভারে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল ৭ রান। কিন্তু ওই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ভারত ৫ রান করে। হেরে যায় মাত্র এক রানে। ০৩. ১৯৮৭, পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ২১৭ রান তাড়া করতে গিয়ে ম্যাচ গড়িয়েছিল শেষ ওভার পর্যন্ত।এক বল বাকি থাকতে কোনও রকমে ম্যাচ যেতেন আব্দুল কাদিররা। হাতে কিন্তু তখন মোটে এক উইকেট ছিল। ০৪. ২০১১ সালে ইংল্যান্ড-ভারত: দু’দলই ৩০০-এর উপর রান করেছিল। শেষ ১০ ওভারের প্রতিটা মুহূর্তে ম্যাচ যে কারও দিকেই যেতে পারত। এই রকম একটা ম্যাচের বেস্ট পজিবল রেজাল্ট কী হতে পারত? ড্র অবশ্যই! সেটাই হয়েছিল। ০৫. ১৯৮৭ ফাইনাল, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ডের সামনে বিশ্বকাপ জেতার সেরা সুযোগ বোধহয় এটাই ছিল। ইডেনে ২৫৫ রান তাড়া করে ১৩৫ রানের মাথায় ফিরে যান মাইক গ্যাটিং। ম্যাচটা ইংল্যান্ড ৭ রানে হারে। শেষ ওভারে ১০ রানও তুলতে পারেনি তারা। ০৬. ১৯৮৩ ফাইনাল, ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ: সেই সময়ে বিশ্বজয়ী ক্যারিবিয়ান দলের বিরুদ্ধে ফাইনালে নেহাতই তুলনামূলক এলেবেলে ভারত করেছিল সব মিলিয়ে ১৮৪। তার পরেরটা ইতিহাস। সবাইকে চমকে কাপটা উঠেছিল ভারতের হাতে। ০৭. ২০১১ সাল, আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড: এই মুহূর্তটা জীবনে কোনওদিনই ভুলবেন না কেভিন ও’ব্রায়ান। নবাগত দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩২৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল ইংল্যান্ড। ২৫ ওভারে ১১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে আয়ারল্যান্ড, তখনই কেভিন ও’ব্রায়নের হাত থেকে বেড়িয়ে আসে সেই ম্যাজিকাল ইনিংস। বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি। এবং জায়ান্ট কিলারের তকমা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। ০৮. ১৯৯২ সেমিফাইনাল, দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড : বিশ্বকাপে সব থেকে আনলাকি দল দক্ষিণ আফ্রিকা। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির প্রথম শিকার। জেতা ম্যাচে বৃষ্টি নেমে ফাইনালে ওঠার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেটটা হয়ে দাঁড়ায় ১ বলে ১৪! ০৯. ১৯৭৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান : বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম নেল বাইটিং ম্যাচ। পাকিস্তানের ২৬৭ তাড়া করতে গিয়ে ২০২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে। হার যখন নিশ্চিত ঠিক তখনই জাদুটা করলেন রবার্ট আর মারে। শেষ ওভারে ছিনিয়ে আনলেন ম্যাচ। ১০. ১৯৯৯ সেমিফাইনাল, দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া : বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেরা রোমহর্ষক ম্যাচ। একা হাতে ক্লুজনার একটা ম্যাচকে নিশ্চিত হারের মুখ থেকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসা কী সহজে ভোলাযায়। যেমন ভোলা যায় না, শেষ ওভারে জেতা ম্যাচটা মাঠে ছেড়ে আসার দায়িত্ব কার? ক্লুজনারের আত্মঘাতী রান নেওয়া, না কি ডোনাল্ডের রান নেওয়ার সময়ে হাঁ করে বলের দিকে তাকিয়ে থাকা! সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×