স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতা দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শনী হয় রাজধানীর পিআইবি মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে। সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্টান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন ও তানিম এয়ার এ্যান্ড কার্গো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার হোসাইন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি রেদুয়ান খন্দকার। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর। কমিটির আহ্বায়ক রফিকুজ্জামানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আর এ দেশের স্বাধীনতা একইসূত্রে গাঁথা। আমরা তাকে ভালবাসতে শিখলে দেশকে ভালবাসতে পারব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের। তিনি আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের জন্য এফডিসি তৈরি করে গেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্তও আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি। বক্তারা বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে একটি পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য আহ্বান জানান। আলোচনার পর আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘পলাশী থেকে ধানম-ি’ ডকুমেন্টারি পর্দায় দেখানো হয়।
শিল্পকলায় বটতলার ‘খনা’ নাটক মঞ্চস্থ ॥ বটতলা নাট্যদলের তৃতীয় প্রযোজনা ‘খনা’ নাটক মঞ্চস্থ হয় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বুধবার সন্ধ্যায়। এক বিদুষী ‘খনা’ যার অন্য নাম লীলাবতী। তার গল্পটা অনেক পুরনো, কিংবদন্তির ঘেরাটোপে বন্দী। এ নাটকের কাহিনী এগিয়েছে চন্দ্রকেতু গড়কে কেন্দ্র করে, যেখানে আজও আছে খনা-মিহিরের ঢিবি। ধর্মকেতুর রাজসভায় পরিচিত হন মিহির ও লীলাবতী। রাজসভাসদ পদও লাভ করেন। মিহির বা প্রাকৃত লোকালয় কারোর পরোয়া না করা জীবনত্যাগী নেশার ঘোর তাকে নিয়ে যায় দিগন্তের ওপার। খনার সত্য শুধু থেকে যায় কৃষকের মুখে। তবু প্রশ্ন থাকে, খনার সত্যই কি একক সত্য? নাকি আজকে নির্ভুল যা কাল তা হতে পারে অসত্য? শুধু সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর যে মৃত্যুনেশা সে নেশা কি তাঁর একরোখা জেদ? খনা নিজেই নিজেকে করেন সম্মুখীন প্রশ্নের। নাটকটি রচনা করেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার। সহকারী নির্দেশক চন্দন পাল। নাটকের অভিনয় শিল্পীরা হলেনÑ সামিনা লুৎফা নিত্রা, নাসির উদ্দিন নাদিম, মোহাম্মদ আলী হায়দার, তৌফিক হাসান ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান, চন্দন পাল, আবদুস সালাম, পঙ্কজ মজুমদার, আব্দুল কাদের, জিয়াউল আবেদীন কাজল, বাকীরুল ইসলাম, সামিনা লুৎফা নিত্রা, সজীব সরকার, বর্ণা সিদ্দীক প্রমুখ।