ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেলিতে বিশ্ব মাতে

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২৪ মার্চ ২০১৬

কেলিতে বিশ্ব মাতে

৭ সেপ্টেম্বর ২০০২- এ দিনই আমেরিকান আইডল এর প্রথম আসরের বিজয়ীর মুকুট পরে নেন মাত্র ২০ বছর বয়সী কেলি ক্লার্কসন। সেই থেকে তার সাফল্যের শুরু। গায়িকা ও গীতিকার কেলি বর্তমানে আন্তর্জাতিক সঙ্গীতজগতে এক উজ্জ্বল নাম। ক্যারিয়ারের শুরুতেই তার জনপ্রিয় দুটি গান ‘আ মোমেন্ট লাইক দিজ’ ও ‘বিফোর ইয়োর লাভ’ বিলবোর্ডের ১০০টি গানের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে নেয়। শুধু তাই নয়, ২০০২ সালে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গানও এটি। সম্প্রতি কেলির গাওয়া ‘পিস বাই পিস’ বিলবোর্ডের সেরা দশ গানের একটি হিসেবে স্থান পেয়েছে। আর সারাবিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে তো জায়গা করে নিয়েছেই! কেলির আবেগী কণ্ঠে গাওয়া এই গানটি শ্রোতাদের কাছে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ‘আইডল’ খেতাব জয়ের পর তার প্রথম দুটি এ্যালবাম ‘থ্যাঙ্কফুল’ এবং ‘ব্রেক এ্যাওয়ে’ সঙ্গীত জগতের সর্বোচ্চ সম্মাননা গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড জেতার মতো সাফল্য অর্জন করে। এ পর্যন্ত কেলির সাতটি এ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। এতো এতো সাফল্য অর্জনের জন্য অবশ্য কেলিকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে তার জন্ম। বাবা ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, মা স্কুল শিক্ষিকা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে কেলি ছোট। তার বয়স যখন ছয় বছর, তখন বাবা-মার বিচ্ছেদ হয়। বড় দুই ভাই-বোন বাবার সঙ্গে চলে গেলেও, কেলি থেকে যান মায়ের কাছে। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর পরিবার তার চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ে। জোড়াতালির সংসারে কিছুতেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না শিশু কেলি। নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য স্কুলের পর টুকটাক কাজ করতে হতো তাকে। এমনকি টেক্সাসের চিড়িয়াখানায় বানরের মলমূত্র পরিষ্কার করা কিংবা জুসের দোকানে পরিচারিকা হিসেবেও কাজ করেছেন! তখন থেকেই গান খুব প্রিয় ছিল কেলির। মূলত মনের দুঃখ হালকা করতেই গুনগুন করে গান গাইতেন। কিন্তু প্রতিভা থাকলেও, টাকার অভাবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শেখার সুযোগ পাননি কেলি। পাশের ঘর থেকে ভেসে আসা বন্ধুর গানের রেওয়াজ শুনে শুনেই নিজেকে তৈরি করে নিচ্ছিলেন। পরে অবশ্য বেশ কয়েকটি কলেজ থেকে মিউজিকে স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। কিন্তু সব ছেড়ে তিনি পাড়ি জমান ক্যালিফোর্নিয়ায়, উদ্দেশ্য- ব্যাকআপ ডান্সার হিসেবে কাজ করা। কিছুদিন পর এক বন্ধুর কাছে কেলি আমেরিকান আইডলের কথা জানতে পারেন। কী যেন ভেবে চলেও যান অডিশন দিতে! সেই শুরু! এখনকার এই ঝলমলে ক্যারিয়ার যেন কেলিকে দেয়া পৃথিবীর মোক্ষম উপহার। গায়িকা ও গীতিকার ছাড়াও পপগানের রানী কেলি ক্লার্কসন বেশকিছু ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। খ্যাতি আছে শিশুসাহিত্য চর্চায়ও।
×