ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণে সর্বাত্মক কাজ চলছে : বিশ্ব পানি দিবসের আলোচনায় বক্তারা

প্রকাশিত: ০২:৪২, ২৩ মার্চ ২০১৬

নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণে সর্বাত্মক কাজ চলছে : বিশ্ব পানি দিবসের আলোচনায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পানির অপর নাম শুধু জীবন নয়, পানির উপর নির্ভর করছে মানুষের জীবিকাও। জাতিসংঘও এ বছরের যথার্থ প্রতিপাদ্যই নির্ধারণ করেছে- ‘জল ও জীবিকা’। বাংলাদেশের পানি নীতিতেও ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার রয়েছে। তবু নিরাপদ পানি অপ্রতুল। পানির অপচয় রোধও সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিরাপদ পানির লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একযোগে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর বিগত ৫ বছরে ১ লাখ সাড়ে ২২ হাজার আর্সেনিক মুক্ত পানির উৎস স্থাপন করেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৩ হাজার নলকূপ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৮০ হাজার পানির উৎস স্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী সরকারি ও বেসরকরি সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস-২০১৬’র আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে ‘জল ও জীবিকা’। এ উপলক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে দিনভর ছিল নানা আয়োজন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মিলনায়তনে বিশ্ব পানি দিবসের এক আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর বিগত ৫ বছরে ১ লাখ সাড়ে ২২ হাজার আর্সেনিক মুক্ত পানির উৎস স্থাপন করেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৩ হাজার নলকূপ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৮০ হাজার পানির উৎস স্থাপন করা হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউনিসেফ, এনজিও ফোরাম ও ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এক জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মহাখালী আইপিএইচ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২০ নং ওয়ার্ড, ডিএসকে, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং ওয়াটার এইড এর যৌথ সহযোগিতায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কণ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্যানিটেশন উপর পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। এসময় আনিসুল হক বলেন, ঢাকা শহরের বস্তিবাসীরা ৯৫ ভাগ ওয়াসার পানির বিল পরিশোধ করেন। তাদের এখন দরকার পুর্নবাসন । বস্তিবাসীদের সাথে ব্রেইন স্টর্মিং করার মাধ্যমে তাদেরকে পুর্নবাসন করা হবে । তিনি বস্তিবাসীদেরকে বস্তিবাসী না বলে অন্যান্য সাধারণ জনগণ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবসের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এম. এ মতিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির সভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হক।
×