ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিদস্যুরা দখলে মরিয়া

নওগাঁয় মৌসুমের শুরুতেই নদী শুকিয়ে বালুচর

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২২ মার্চ ২০১৬

নওগাঁয় মৌসুমের শুরুতেই নদী শুকিয়ে বালুচর

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ খরা মৌসুমের শুরুতেই উত্তরের নওগাঁ জেলার নদীগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। শুকিয়ে এখনই যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এসব নদী রক্ষায় যত দ্রুত সম্ভব কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনগুলোতে নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। নদীগুলো শুকিয়ে এভাবে পানিশূন্য হয়ে পড়ায় এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে কৃষি, মৎস্য, বৃক্ষরাজিসহ সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের গৃহস্থালি কাজকর্মের ওপর। জেলার উল্লেখযোগ্য নদী হলো- বদলগাছী, সদর ও রানীনগর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা, পত্নীতলা, মহাদেবপুর, মান্দা ও আত্রাই উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদী, সাপাহার ও পোরশা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পুনর্ভবা, নিয়ামতপুর ও মান্দা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত শিব, সদর ও রানীনগর উপজেলা ওপর দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা এবং রানীনগর ও আত্রাই উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নাগরনদ। পানিশূন্য এসব নদ-নদীর করুণ অবস্থা দেখে এলাকাবাসী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু জল নজরে পড়লেও গোটা নদীই এখন পানিশূন্য হয়ে ধুঁ-ধুঁ বালুচরে পরিণত হয়েছে। এদিকে সরকারী নজরদারি না থাকায় এক শ্রেণীর ভূমিদস্যু নদী দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন অংশ জবরদখল করে তারা মাটি ভরাট করে তৈরি করছে নানা স্থাপনা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে এসব ভূমিদস্যু নদীগুলোর বালুসহ মাটি বিক্রির প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। কেউ কেউ নদীর বুকে ফসলী জমি তৈরি করে দখলে নিয়েছে। দখলের এই প্রতিযোগিতায় নদীর শেষ চিহ্নটুকুও মুছে যেতে বসেছে। এতে শুধু নদীর গতিপথই নয়। মূল সীমানাও হারিয়ে যেতে বসেছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এসব নদীর স্মৃতি চিহ্ন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে প্রবীণরা আশঙ্কা করছেন। তারা পানি সঙ্কট নিরসনে দখলমুক্ত করে পুনর্খনন করার দাবি জানিয়েছেন। কেরানীগঞ্জে সৎ পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২১ মার্চ ॥ কেরানীগঞ্জে সৎ পিতার বিরুদ্ধে মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে মেয়েটির মা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত পিতা সাইফুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্বামী তালাক দিলে ২০০৬ সালে ৫ বছরের মেয়ে নিয়ে তিনি সাইফুলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাইফুলের ঔরসে তাদের ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। রোজিনার মতো সাইফুলেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। কেরানীগঞ্জের পশ্চিম বরিশুর এলাকায় কুতুবউদ্দিনের বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকেন সাইফুল। পাশেই তার বড় বউ ভাড়া থাকেন। গত ১৪ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাইফুল বেড়ানোর কথা বলে সৎ মেয়ে মাসুমাকে নিয়ে বড় বউয়ের বাসায় যায়। কিছুক্ষণ পর রোজিনা সেখানে উপস্থিত হয়ে বাবা মেয়ে দুজনকেই উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়। মেয়ে তখন জানায়, বাবা তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। মেয়েটির মা রোজিনা বেগম জানান, এ ঘটনায় মেয়েকে নিয়ে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে গত ১৬ মার্চ মেয়েকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফেরদাউস হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
×