ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে গয়না শিল্পে ধর্মঘটে ক্ষতি ৭০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২২ মার্চ ২০১৬

ভারতে গয়না শিল্পে ধর্মঘটে ক্ষতি ৭০ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতের গয়না শিল্পে টানা ১৮ দিন ধরে চলা ধর্মঘটের জেরে ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা। এক বিবৃতিতে এ কথা জানাল গয়না ব্যবসায়ীদের সংগঠন, জেমস এ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে শনিবার রাতে এই ধর্মঘট তুলে নেয়া হয়। রবিবার অবশ্য গয়নার ওপর শুল্ক বসানোর সপক্ষেই যুক্তি দিয়েছেন জেটলি। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে দেশে পণ্য-পরিষেবা কর চালুর পথে এগোচ্ছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে এগোতে দামি পণ্যের ওপর শুল্ক বসা উচিত। তবে ব্যবসায়ীদের যাতে হয়রানি না হয়, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে তার দাবি। এদিকে গয়না শিল্পের আর এক সংগঠন, অল ইন্ডিয়া জেমস এ্যান্ড জুয়েলারি ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা শঙ্কর সেন জানিয়েছেন, উৎপাদন শুল্ক আদায়ের প্রক্রিয়া যাতে সরল করা হয় এবং এ জন্য যাতে সোনা ব্যবসায়ীদের অহেতুক হয়রানির শিকার না-হতে হয়, সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র ইতোমধ্যেই তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে। দু’মাসের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা। প্রসঙ্গত, বাজেটে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি গয়নার ওপর ১ শতাংশ হারে উৎপাদন শুল্ক বসানো হবে বলে প্রস্তাব আনার পরই চলতি মাসের শুরুতে ধর্মঘটে নামেন সোনা ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় আসছে টাইটান আইপ্লাস ভারতের বাইরে পা রাখার পরিকল্পনা করছে টাটা গোষ্ঠীর অন্যতম সংস্থা টাইটান আইপ্লাস। সম্প্রতি কলকাতায় সংস্থার শততম বিপণি উদ্বোধন-অনুষ্ঠানের শেষে এ কথা জানান টাইটান আইপ্লাসের প্রধান রনি তালাতি। তার দাবি, প্রথমে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ব্যবসা শুরু হবে। কারণ, এ দুটি বাজারের সঙ্গে ভারতের বাজারের মিল রয়েছে। এছাড়া দেশে বড় শহরের পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তালাতি। তার দাবি, সংস্থার ৪০০টি বিপণির মধ্যে ১০০টি পূর্বাঞ্চলে রয়েছে। মোট ব্যবসার ২০ শতাংশ এই অঞ্চল থেকে আসে। তালাতির দাবি, গত সাত বছর ধরে সংস্থার ব্যবসা ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। এমনকি নেট দুনিয়ায় চশমাসহ চোখের যতেœর বিভিন্ন জিনিসপত্রের বিক্রি বাড়লেও সংস্থার ব্যবসা মার খায়নি। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে অনলাইনেও পণ্য বিক্রি করার রাস্তায় হাঁটবে সংস্থা। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার অস্ট্রেলিয়া সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান পুঁজিবাজার অস্ট্রেলিয়া সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এলমের ফুঙ্কে কুপার। কম্বোডিয়ায় গেমিং কোম্পানি ট্যাবকর্পের লাইসেন্স পেতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের পরিবারকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ তদন্তের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন এলমের। এর আগে তিনি ট্যাবকর্পের সিইও ছিলেন। এলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্যাবকর্পের সিইও থাকাকালে তিনি কম্বোডিয়ায় কোম্পানিটির লাইসেন্স পেতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের পরিবারকে ২ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। সময়টা ছিল ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগেই। সোমবার প্রধান পুঁজিবাজার কোম্পানিটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কাউকে খুঁজে পাওয়া না যাচ্ছে ততক্ষণ এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান রিক হোলিদে স্মিথ। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×