ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় হুমকিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

পদ্মায় অবাধে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২১ মার্চ ২০১৬

পদ্মায় অবাধে বালু উত্তোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২০ মার্চ ॥ সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট সংলগ্ন বিশাল এলাকাজুড়ে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ শত শত বিঘা আবাদি জমি। সম্প্রতি এ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় উভয় গ্রুপের মামলা দায়েরের পর বেশ কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও গত এক সপ্তাহ থেকে আবারও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনে সরকারী কোন বিধানই মানা হচ্ছে না। সরকারী নিয়মে বালুমহল লিজ নিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে সকল নিয়মনীতি মেনে জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে লিজ নিয়ে পরবর্তীতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে বালু উত্তোলন করতে হয় কিন্তু সেটাও মানা হয়নি। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাজবাড়ী জেলার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী দীপক কুমার কুন্ডু ও আজম আলী বিশ্বাস ওরফে মধু গং এবং সুজানগরের নাজিরগঞ্জ এলাকার কামাল খলিফা ও হারুন শেখ গং সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে উল্লেখিত এলাকা থেকে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে একদিকে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, নাজিরগঞ্জ স্কুল এ্যান্ড কলেজ, হাসামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরখাঁপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুলচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরগঞ্জ কালিমন্দিরসহ নদীর তীরবর্তী শত শত বিঘা আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়েছে এবং যে কোন সময় এ সকল প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকগণ বাচ্চাদের পড়ালেখা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার পাশাপাশি আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই তারা অনতিবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রধানমন্ত্রী, নৌপরিবহনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×