ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তদন্ত কমিটির প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২১ মার্চ ২০১৬

তদন্ত কমিটির প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯৯৬ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট ইস্যু) জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। পুঁজিবাজার মামলা নিষ্পত্তিতে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ভবনে স্থাপিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর রবিবার গ্রেফতারি পরোয়ানার এ আদেশ জারি করেন। ১৯৯৬ সালের প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া মামলার বাদী ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম এ রশীদ খানের বিরুদ্ধেও ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান বলেন, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ মামলায় প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এবং এম এ রশীদ খানের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০ মার্চ নির্ধারিত তারিখ ছিল। কিন্তু উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২৭ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ওইদিন এ মামলায় বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ ও ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য প্রফেসর জহুরুল হকের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রবিবার মামলার আসামি প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক অনু জাগীরদার ও সাঈদ এইচ চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। তিন মাস পর ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রিমিয়ার সিকিউরিটিজের শেয়ার কেলেঙ্কারির বিষয়টি উঠে আসে। মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে নবেম্বর পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। এ সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেন। প্রতিষ্ঠানটি ওই সময়ে মোট ১২৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন করে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি শুধু ফরেন ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্টের (ডিভিপি) মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা লেনদেন করে।
×