ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রায়পুরে ব্যক্তিগত আক্রোশে ৩ ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিলেন প্রতিষ্ঠাতা

প্রকাশিত: ০২:৩০, ২০ মার্চ ২০১৬

রায়পুরে ব্যক্তিগত আক্রোশে ৩ ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিলেন প্রতিষ্ঠাতা

সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার এম রহমান ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারনে মাদ্রাসার তিন ছাত্রীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে । তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃস্পতিবার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে তিন ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের দেয় মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। একারনে মাদ্রাসায় যেতে না পেরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের শিক্ষা জীবন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত তিন ছাত্রী হলো ৭ম শ্রেনীর আফিফা আক্তার, ৯ম শ্রেনীর সুমাইয়া আক্তার ও ১০ম শ্রেণির আসমা আক্তার। মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী আফিফা আক্তারের মা আমেনা বেগম জানান, আমাদের সাথে বাড়ি ও জমি নিয়ে একটি পক্ষের সাথে বিরোধ চলছে। আর ওই পক্ষের মুরব্বি সাইফুল আলম। এ বিষয়ের আমরা সাইফুল আলমের সাথে যোগাযোগ না করায় তিনি আমার মেয়েকে মাদ্রাস থেকে বের করে দেয়। আর আমার বড় মেয়ে আসমা আক্তার এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে। সে পাশ করলে তাকে এ মাদ্রাসায় ভর্তি করাবে বলে তিনি জানান। তিনি এ সময়ে মাদ্রাসার সুপার কে বলেন তার অনুমতি ছাড়া এদেরকে যেন ক্লাস এবং মাদ্রসায় না আসে। তাদেরকে অন্য প্রতিষ্ঠানে যেতে বলেন। ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার মা শেফালী বেগম জানান আমার মেয়ের কি অপরাধ সাইফুল আলম সাহেব আমার মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ করে দিলেন। আমার মেয়ে বৃহস্পতিবার কাদঁতে কাঁদতে বই নিয়ে বাড়ি চলে আসে কিছু খেতে চায় না, শ‍ুধুই কাঁদে। আর বলে আমার কি পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। সাইফুল আলমের সাথে তো আমাদের কোন বিরোধ নাই। ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী আফিফা আক্তার বলেন আমাদের কি অপরাধ? কি কারণে আমাদেরকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিল। আমি পড়ালেখা করতে চায়। কি কারণে আমাদেরকে মাদ্রসা থেকে বের করে দেওয়া হলো। এ বিষয়ে মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল হান্নান পাটওয়ারী জানান, এ ব্যাপারে কিছুই জানি না মাদ্রাসার সুপার বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রসায় এসে পিয়ন দিয়ে ওই ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে তাদেরকে মাদ্রায় না আসার জন্য বলেন। তিনি আমাকে কিছুই বলেননি। শুধু বলেছেন প্রতিষ্ঠানের শৃঙখলা ভঙ্গ করার জন্য তিনি এ কাজ করছেন। কিন্তু তিনি নিজেই জানেন না কি শৃংঙ্খলা ভঙ্গ করেছে ছাত্রীরা। সাবেক ভারপ্রার্প্ত সুপার আবুল বাশার জানান আমার জানামতে ওই ছাত্রীরা কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোন কাজ করেনি। তারা তিন জনেই ভালো ছাত্রী। এমনিতেই মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কম। কি কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমার জানান নাই। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলম বলেন এই ছাত্রীদের অভিভাবকরা আমার কথা শুনেন না। তাছাড়া তাদের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ আছে। তাই আমি তাদেরকে মাদ্রসা থেকে বের করে দিয়েছি। এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলার র্নিবাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম জানান আমি ছুটিতে আছি, এ বিষয়ে কেউ আমাকে অবহিত করেন নাই। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
×