ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসবমুখর কাউন্সিল ॥ উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২০ মার্চ ২০১৬

উৎসবমুখর কাউন্সিল ॥ উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল ছিল উৎসবমুখর। সকাল থেকে দলের নেতাকর্মী, ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের মিছিল, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সম্মেলন স্থলে হাজির হতে দেখা যায়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মূল চত্বর ছাড়াও সোহরাওয়ার্দীর একটি অংশে সারাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে সম্মেলনের মূল চত্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভেতর অংশে শুধু কাউন্সিলরদের কার্ড দেখিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এর বাইরে আমন্ত্রিত দেশী-বিদেশী অতিথিরাও সম্মেলনে যোগ দেন। ডেলিগেটসহ দলের নেতাকর্মীরাও এ সময় মূল চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ কারণে গেটের সামনে মাঝে মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে অনেকটা কষ্ট করেই সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তবে রমনা পার্কে, ওভারব্রিজ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও দলের অনেক নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেয়া যায়। যানজটে ভোগান্তি ॥ দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বেলা পৌনে ১১টায় সম্মেলন স্থলে হাজির হন। এ সময় নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। পৌনে ১১টায় সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় সম্মেলন স্থল ও চারপাশের এলাকা। এ সময় যান চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় তীব্র যানজট। ট্রাফিক পুলিশ এ সময় বিকল্প পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। যানজটের কারণে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের অনেকটা ভোগান্তি পোহাতে হয়। উৎফুল্ল নেতাকর্মী ॥ সম্মেলন উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরসহ সোহরাওয়ার্দীর একটি অংশও শামিয়ানা দিয়ে সাজানো হয়। বিএনপির এ সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট মিলে প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। নেতাকর্মীদের ভিড়ে কাউন্সিল স্থল উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভেতরে মূল চত্বরে কাউন্সিলর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডেলিগেটদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে সেøাগান দেন। নেতাকর্মীদের ভিড়ে এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উদ্বোধনী পর্ব ॥ দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সম্মেলন স্থলে আসার পর শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ছয় বছর পর শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ সম্মেলন শুরু হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এছাড়া সম্মেলনে রেকর্ড করা থিম সং শোনানো হয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে। এবারে সম্মেলনের থিম সং ছিল- ‘দুর্নীতি দুঃশাসন হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ।’ বিদেশী অতিথিদের বক্তব্য ॥ সম্মেলনের শুরুতেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সম্মেলনে আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে প্রথমেই তাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেন। এছাড়া যেসব বিদেশী অতিথি সম্মেলনে হাজির হতে পারেননি তাদের পাঠানো ই-মেইল বার্তা ও ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে ৪ জন বিদেশী অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য শুভকামনা করেন। তারা বলেন, এ দেশ অপার সৌন্দর্যের আধার ও বিপুল সম্ভাবনার। এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যেন কখনও হতাশ না হয়। কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল যেন তারা পান। এ সময় বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য শারম্যান বেনজ্যাক, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য বিল বেনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারবারা মোর। বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ॥ বিএনপির সম্মেলনে দলের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছাড়া কেউই বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি। খালেদা জিয়া ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট বক্তব্য রাখেন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রেকর্ড করা বক্তব্য প্রচার করা হয় ৩৫ মিনিট ধরে। এর বাইরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য দেন। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় সব নেতাই উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি। দর্শকের মতো মঞ্চে বসে ছিলেন। তবে তারা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না পেলেও একমাত্র শামা ওবায়েদ বিদেশী অতিথিদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কিছু কথা বলার সুযোগ পান। এর বাইরে ২০ দলীয় জোটের অলি আহমেদ এবং বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। তারেকের বক্তব্যে তরুণ নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আগে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত না থাকলেও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রেকর্ড করা বক্তব্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে আগত ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় সম্মেলনে উপস্থিত অনেক নেতাকর্মী বিশেষ করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎফুল্ল ভাব লক্ষ্য করা যায়। এ সময় তারা সেøাগান দিতে থাকেন। বিশেষ করে তারেকের বক্তব্যে যখন সরকারের সমালোচনা করা হয় তখন সবাই আওয়াজ তুলে তার বক্তব্যে সমর্থন জানান। বাকরুদ্ধ খালেদা জিয়া ॥ সম্মেলনে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের শেষপর্যায়ে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় কিছু সময় বক্তব্য না দিয়ে নীরব থাকেন। বিশেষ করে বক্তব্যের একপর্যায়ে যখন কোকোর মৃত্যু, তারেক রহমান ও পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতনের বিষয় উল্লেখ করেন- সে সময় তিনি অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে যান। কিছুক্ষণ বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকেন। এ সময় দলের সমর্থকরা সেøাগান দেন- ‘রাজপথ ছাড়ি নাই, খালেদা জিয়ার ভয় নাই।’ একপর্যায়ে খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই ছেলেরা চুপ করো।’ তার বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় উদ্বোধনী পর্ব। ২০ দলীয় জোটের বাইরে উপস্থিত ছিলেন না কেউ ॥ সম্মেলনে বিদেশী অতিথি, ২০ দলীয় জোটের বাইরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকে যোগ দিতে দেখা যায়নি। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদ সৈয়দ আশরাফ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ছাড়াও সব রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সম্মেলন উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা ॥ বিএনপির কাউন্সিলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান। বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন- শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, এম মোরশেদ খান, রাবেয়া চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, হারুন আল রশীদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মাহমুদুল হাসান, ওসমান ফারুক, আবদুল মান্নান, মীর নাছির উদ্দিন, এজে মোহাম্মদ আলী, মুশফিকুর রহমান, আবদুল হালিম, রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আমীনুল হক, আবদুল কাইয়ুম, জয়নাল আবেদীন, এজেডএম জাহিদ হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আহমেদ আজম খান, মিজানুর রহমান মিনু, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, আসাদুল হাবিব দুলু, ফজলুল হক মিলন, মশিউর রহমান, মজিবুর রহমান সারোয়ার, গোলাম আকবর খন্দকার, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, আসাদুজ্জামান রিপন, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, জিএম ফজলুল হক, কাজী আসাদুজ্জামান, সৈয়দ মোয়জ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নিতাই রায় চৌধুরী, কারাবন্দী স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও শামা ওবায়েদ। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সম্মেলনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে যোগ দেন- অলি আহমদ, সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, আন্দালিব রহমান পার্থ, শফিউল আলম প্রধান, মোস্তফা জামাল হায়দার, খন্দকার গোলাম মুর্তজা, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জেবেল রহমান গানি, মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, রেদোয়ান আহমেদ, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, আহমেদ আবদুল কাদের, সাহাদাত হোসেন সেলিম, খন্দকার লুৎফর রহমান, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেনÑ প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহফুজউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ইসমাইল জবিউল্লাহ, কবি আল মুজাহিদী, সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, এম আবদুল্লাহ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বক্তব্য ॥ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র মানেই খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া মানেই গণতন্ত্র। তার বক্তব্যে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। গত কয়েক বছরে সরকারের দমন-পীড়ন ও পুলিশ এবং সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপির ৫০২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ২২৩ জন নেতাকর্মী অপহৃত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন চার হাজার। জেল খেটেছেন প্রায় ৭৫ হাজার। প্রায় ২৪ হাজার মামলা হয়েছে এবং এতে চার লাখ ৩০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ৫০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। এ সময় তিনি সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান। এছাড়াও তিনি দলের মধ্যে সরকারের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেন। বি চৌধুরীর স্মৃতিচারণ ॥ বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী তার বক্তব্য দেয়ার সময় প্রথম কাউন্সিলের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, আজ আমার মনে পড়ে প্রথম সম্মেলনের কথা। সেখানে আমি পার্টির প্রথম মহাসচিব হিসেবে সম্মেলনে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বক্তব্য রেখেছিলাম মূলত জিয়াউর রহমানের নির্দেশে। এছাড়া তিনি কাউন্সিলের সফলতা কামনা করেন। এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এক সময় দেশে বাকশাল করে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছিল। এখন বাকশালের বাবা এসেছে। ব্যানার-ফেস্টুনে ঢাকা সম্মেলন ॥ সম্মেলন উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পেছন দিকে নতুন ভবনের সামনে তৈরি করা হয় মূল মঞ্চ। আমন্ত্রিত অতিথি কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে বসেন। মঞ্চের পেছনে খালেদা জিয়ার পাশাপাশি জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি টাঙ্গানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল মঞ্চের বামদিকে স্থাপন করা হয়েছিল ৪২ ইঞ্চি প্রজেক্টর। অনুষ্ঠানে প্রজেক্টরের সাহায্যে লন্ডনে অবস্থানরত দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাষণের ভিডিও প্রচার করা হয়। এছাড়াও খালেদা জিয়াসহ আগত অতিথির বক্তব্য মঞ্চের পেছনের মনিটরের মাধ্যমে দেখানো হয়। এছাড়া কাউন্সিল ঘিরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকা সাজানো হয়েছে রঙিন পতাকায়। সেখানে শোভা পায় তারেক রহমানের ছবিসহ দলের বিভিন্ন নেতার নামে ব্যানার পোস্টার। মৎস্য ভবন থেকে শিশুপার্ক পর্যন্ত পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে যায়। এছাড়া মৃত নেতাদের ছবি স্থান পায় সম্মেলনের আশপাশে। মঞ্চের বামদিকে গুম ও হত্যাকা-ের শিকার নেতাদের ছবি সংবলিত ‘হিরোজ নেভার ডাই’ শিরোনামে বিশাল ডিজিটাল ব্যানার টাঙানো হয়। কাউন্সিলে যোগ দিতে সকাল ৮টা থেকেই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। মূল প্যান্ডেলে পরিচয়পত্র দেখিয়ে কাউন্সিলরদের ঢুকতে দেয়ার কারণে লম্বা লাইন তৈরি হয়।
×