ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বনানী গুলশান এলাকায় রাস্তা খনন স্থলে তিতাসের জরুরী দল

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২০ মার্চ ২০১৬

বনানী গুলশান এলাকায় রাস্তা খনন স্থলে তিতাসের জরুরী দল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটার পর হুঁশ হলো তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির। বনানী-গুলশান এলাকায় রাস্তা খোঁড়ার সময় তিতাস গ্যাসের একটি জরুরী দলকে সর্বক্ষণিকভাবে সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প বাস্তবায়ন এলাকায় উপস্থিত রাখা হয়েছে। তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিন কর্মীর নাম এবং ফোন নম্বর দিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের প্রয়োজনে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। অন্যদিকে শনিবার ঘটনা তদন্তে পেট্রোবাংলা পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই তদন্ত কমিটি আজ রবিবার থেকে কাজ শুরু করবে। বৃহস্পতিবার রাতে বনানীতে তিতাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বাসিন্দারা আপাতত আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে থাকছেন। শুক্রবার রাজউক ভবনটি সাময়িকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। শনিবার তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এক খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এলাকাবাসীর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে তিতাস গ্যাসের একটি জরুরী দল সর্বক্ষণিকভাবে সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত থাকবে। জরুরী দলের তিন কর্মী হচ্ছেনÑ টেকনেশিয়ান হাফিজ উদ্দিন মোবাইল নম্বর ০১৮২৩-৬৩২৩০৩, উন্নয়নকর্মী জামাল হোসেন মোবাইল নম্বর ০১৭১৫-৪১১৫৯৩, ওয়েল্ডার শাহ মোঃ আকমল মোবাইল নম্বর ০১৭১১-৩৫২৮৭৭। তিতাস বলছে, বনানী-গুলশান এলাকায় চলমান স্টর্ম সুয়্যার নির্মাণ প্রকল্প ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় রাস্তা খননকাজ চলছে। খননকাজ চলার সময় গ্যাসলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলেই গ্যাসের লিকেজ ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। খনন স্থলের আশপাশে গ্যাসের লিকেজ বা গন্ধ পাওয়া গেলে দ্রুত জরুরী টিমকে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে তিতাস। এছাড়া বাসাবাড়িতে গ্যাসের লিকেজ বা গন্ধ পাওয়া গেলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিয়ে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে তিতাস গ্যাসের জরুরী টিমকে অবহিত করার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানিয়েছে বিতরণ কোম্পানিটি। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে বনানীর ২৩ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়িতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠেছে গ্যাসলাইনে লিকেজের বিষয়ে বিতরণ কোম্পানি তিতাসকে জানানো হলেও তারা সাড়া দেয়নি। আর তিতাস দাবি করছে সিটি কর্পোরেশন আর ওয়াসাই এ বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। কারণ হিসেবে তারা বলছে, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করছিল তারাই। এদিকে সরকারের দুই সংস্থার পরস্পরের ওপর দায় চাপানোর মধ্যে গৃহহারা হয়েছে ২০ পরিবার। তাদের সকলেই আপাতত ঠাঁই নিয়েছেন আত্মীয়স্বজনের বাসায়। ভবনের বাসিন্দা শামসুল আলম বলেন, জরুরী জিনিসপত্র ও কাগজ ভবনটি থেকে আপাতত সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এরপরও তারা এ ভবনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এ্যাসেট ডেভেলপারকে চিঠি দেবেন। চিঠিতে ভবনটি পরীক্ষা করার কথা বলা হবে। পরীক্ষার পরই বলা যাবে কী অবস্থা। ভবনটির বাসিন্দা শামীম আনোয়ারুল হক বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও তারা শিউরে উঠছেন। ভবনটিতে বিকট শব্দে যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন পাশের ফ্ল্যাটের এসির আউটডোর তার ঘরের জানালার কাচ ও গ্রিল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে যায়। এ সময় ওই ঘরে দুজন ঘুমিয়ে ছিলেন। অগ্নিকা-ের ঘটনায় ভবনটির ৫০ জন বাসিন্দার বেঁচে যাওয়াকে তিনি সৌভাগ্য হিসেবেই দেখছেন। এদিকে শনিবার অপর এক খবর বিজ্ঞপ্তিতে পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, সংস্থার পরিচালক (প্রশাসন) মোস্তফা কামালকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদিও কমিটির বাকি তিন সদস্য শনিবার চূড়ান্ত করেনি কমিটি। ওই কমিটি আজ রবিবার থেকে কাজ শুরু করবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে।
×