ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালের কার্গো কমপ্লেক্সে রফতানি পণ্যের জট

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২০ মার্চ ২০১৬

শাহজালালের কার্গো কমপ্লেক্সে রফতানি পণ্যের জট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বিমানে পণ্য পরিবহনে ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞার পর নিরাপত্তার কড়াকড়ি ও স্ক্যানিং মেশিন সঙ্কটে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে রফতানি পণ্যের জট সৃষ্টি হয়েছে। সময় মতো স্ক্যানিং না হওয়ায় নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রফতানিকারকরা। এতে পচে যাচ্ছে সবজি ও কাঁকড়ার মতো পণ্য। পিক সিজন না হলেও শুধু স্ক্যানিং সমস্যার কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরের রফতানি পণ্যের টার্মিনালের বাইরে এখন পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ সারি। গড়ে প্রতিদিন এই বিমানবন্দর দিয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টন পণ্য রফতানি হলেও স্ক্যানিংয়ের সমস্যার কারণে বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় ফ্লাইট মিস হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন রফতানিকারকরা। এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সময় মতো মালামাল পৌঁছাতে না পারলে বায়াররা হয়তো চুক্তি বাতিল করবে।’ আর সবজি রফতানিকারক মামুন সরকার বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ৫ থেকে ৬ টন কাঁকড়া ও সবজি রফতানি হয়। বিশাল রেমিটেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব। যেটা ভবিষ্যতে আমাদের রফতানি খাতে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’ ব্যবহারকারীদের অভিযোগ মাত্র চারটি স্ক্যানিং মেশিনের মধ্যে দু’টি চালু আছে, ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞার পর নিরাপত্তার কড়াকড়িতে সেগুলোও ঠিক মতো না চলায় পণ্য রফতানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে ২/৩ দিনেও কার্গো কমপ্লেক্সে ঢুকতে না পারায় রফতানি পণ্য নিয়ে আসা গাড়ির চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। টানা ৪ সপ্তাহ ধরে উর্ধমুখী তেলের বাজার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা ৪ সপ্তাহের মতো উর্ধমুখী অবস্থানে তেলের বাজার। অধিকাংশ তেল রফতানিকারক দেশের উৎপাদন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ও দুর্বল ডলারের কারণে আরও এক ধাপ বেড়েছে পণ্যটির দাম। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল এ বছরের মধ্য সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। রয়টার্স ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়েছে, এদিন লন্ডনের বাজারে লেনদেনের শুরুর দিকে আগামী মাসে ডেলিভারি হতে যাওয়া অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৪১.৭১ ডলারে; এ বছরের মধ্য যা সবচেয়ে বেশি। তবে শেষ পর্যন্ত এই দর ৭ সেন্ট কমে যায়। ইউএস ক্রুড শ্রেণীর তেল এদিন ৩ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৪০.২৩ ডলারে বিক্রি হয়। এর আগের কার্যদিবসে বেঞ্চমার্কে এই তেলের দর ৪.৫ শতাংশ বেড়ে ৪০.২০ ডলারে বিক্রি হয়। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর ৫০ শতাংশের বেশি পতনে গিয়ে ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এরপরই বাজার চাঙ্গা করতে মাঠে নামে ওপেকভুক্ত দেশগুলো।
×