ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মানি এক্সচেঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী ডলারের দাম

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১৯ মার্চ ২০১৬

মানি এক্সচেঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী ডলারের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ চলতি মাসের শুরু থেকেই ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে। কারণ হিসেবে এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদেশ ভ্রমণসহ নানা কারণে বেড়ে গেছে ডলারের চাহিদা। তবে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে ডলারের দাম। এমন অবস্থায়, ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে নজরে রাখার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। চলতি মাসের শুরু থেকে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে ডলারের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে এক থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতি ডলারের দাম রাখা হচ্ছে ৮২ টাকা পর্যন্ত। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খোলা বাজার থেকে ডলার কিনতে আসা সাধারণ মানুষ। ডলারের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসা ও বিনোদনসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশ ভ্রমণের ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. ইসহাক বলেন,‘ডলারের দাম একটু বাড়তি। কারণ ভারতে খেলা চলছে। কেউ ভারত গেলে ৫শ' ডলার এনডোর্স করে নেয়। এজন্য একটু বাড়তি।’ মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এস জামান বলেন, ‘ডলার রেট ওপেন। দেখা যাচ্ছে ৮০ টাকা ৮০ পয়সা ডলার বিক্রি করছি, আরেকজন দেখা গেল ৮১ টাকা ডলার বিক্রি করছে। আরেকজন ৮১ টাকা ২০ পয়সা বিক্রি করছে।’ মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের দাম নিয়ে অস্থিরতা থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ডলারের লেনদেন। এক বছরের বেশি সময়ের সোনালী ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়া, রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে গত বছরের নবেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পণ্য আমদানির মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপর কমতে থাকে ডলারের বিনিময় মূল্য। আর চলতি মাসের শুরু থেকেই তা রয়েছে ৭৯ টাকায়। এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বনাথ পাল বলেন, ‘বিক্রি করছি ৭৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর কিনছি ৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। গত নবেম্বর থেকেই প্রায় এ রকমই চলছে আমাদের। ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের মোটামুটি স্ট্যাবিলিটি রয়েছে। যার কারণে বাজারেও দাম স্থিতিশীল রয়েছে।’ সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ডলার বিনিময় করেন। তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে নজরে রাখা দরকার বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্য মতে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে বৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে রাজধানীতে ১১০টিসহ সারাদেশে ২৩৭টি প্রতিষ্ঠান। ##
×