ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি বিএনপির রাজনীতি স্তব্ধ করতে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৯:১১, ৬ মার্চ ২০১৬

ওয়ান-ইলেভেন  সৃষ্টি বিএনপির  রাজনীতি  স্তব্ধ করতে ॥  ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির রাজনীতিকে স্তব্ধ করতেই ওয়ান-ইলেভেনের সৃষ্টি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দশম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে ‘উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তখন যারা ওয়ান-ইলেভেনের পক্ষে কথা বলেছেন, এখন তারাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আর শেখ হাসিনাই ওয়ান-ইলেভেন সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। শুধু তাই নয়, এ সরকার যা কিছু করবে তার সব কিছুকেই বৈধতা দেবে। আজকে যখন তাদের আঁতে ঘা লেগেছে, তখন এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কিন্তু যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। ফখরুল বলেন, জাতীয় সংসদে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের বিচার দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ওয়ান-ইলেভেন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সে মামলাটি চাপিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার আর তা হচ্ছে একটিমাত্র দল, মতবাদ ও আদর্শকে স্তব্দ করতে হবে, ধ্বংস করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে তাকে বাদ দিতে হবে। সে কারণেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর আক্রমণ ও আগ্রাসন করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের আগ থেকেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। তারেক রহমানের নামে দুর্নীতির কল্পকাহিনী তৈরি করে প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ওয়ান-ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর গ্রেফতার করা হয় জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসীদের। মূল লক্ষ্য ছিল দেশকে রাজনীতি শূন্য করা। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশ ও জাতীয়তাবাদের প্রতীক। সেজন্য তাকে নিয়ে সরকারের ভয়। তারেক রহমানকে যদি স্তব্ধ করে দেয়া যায়, তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়। তাই তারেক রহমানের বক্তব্য দেশে প্রচার করতে দেয়া হয় না। ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাযহারুল আনোয়ার, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ। এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন বলে শুধু মঈন উদ্দিনকে একা দোষ দিয়ে লাভ নেই। মঈন উদ্দিন যা ঘটিয়েছিলেন তার সামনে রেখেছিলেন ফখরুদ্দিনকে। এর অর্থই হচ্ছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা যাতে তার পক্ষে থাকে। তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেন ছিল একটি সামরিক অভ্যুত্থান। আর সামরিক অভ্যুত্থান যখন ঘটে, শুধুমাত্র সামরিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঘটে না। সামরিক বাহিনীর কিছু উচ্চাকাক্সক্ষী কর্মকর্তার সঙ্গে থাকে প্রচুর সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা যারা এ ক্ষেত্রটা তৈরি করে।
×