ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এটিএম বুথের লুট করা টাকা একজনের কাছে গচ্ছিত আছে ॥ আটক মিন্টুর স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৬ মার্চ ২০১৬

এটিএম বুথের লুট করা টাকা একজনের কাছে গচ্ছিত আছে ॥ আটক মিন্টুর স্বীকারোক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৫ মার্চ ॥ কালিয়াকৈরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে লোড করার সময় টাকা লুটের ঘটনায় আটক মিন্টু মিয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার দুপুরে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাহমিনা খানম শিল্পীর সামনে হাজির করা হলে বিচারকের খাস কামরায় মিন্টু এ জবানবন্দি দেয়। এদিকে ঘটনার তিন দিন পরেও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব জানান, টাকা লুটের ঘটনায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ড বাজার এলাকা হতে খুলনার পাইকগাছা থানার বদাডাঙ্গা গ্রামের রুহুল আমিন মোল্লার ছেলে লাবলু মোল্লা ওরফে নাঈমুর ওরফে ইমনকে (২৯) এবং কালিয়াকৈরের রাখালিয়ার চালা এলাকা হতে জয়নাল আবেদীনের ছেলে মিন্টু মিয়াকে (৩২) শুক্রবার ভোরে আটক করা হয়। শনিবার মিন্টু মিয়াকে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাহমিনা খানম শিল্পীর সামনে হাজির করা হয়। পরে বিচারকের খাস কামরায় মিন্টু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক দীর্ঘ জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার পর মিন্টুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর আসামি লাভলু মোল্লা ওরফে ইমনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করে। ওসি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত মিন্টু টাকা লুটের বিস্তারিত ঘটনা পুলিশ ও আদালতের কাছে স্বীকার করেছে। মিন্টু জানায়, টাকা লুটের ঘটনায় সে সহ সাতজন অংশ নেয়। এর মধ্যে সে কয়েকজনকে চেনে এবং কয়েকজন তার অপরিচিত । এছাড়াও লুণ্ঠিত টাকা ভাগ-বাটেয়ারা না করে দলের একজনের কাছেই গচ্ছিত রাখা আছে বলে মিন্টু জানিয়েছে। এদিকে শনিবার দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, কালিয়াকৈরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সিসিটিভির ক্যামেরার ছবি দেখে কয়েকজনের ছবি শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সবকিছু তদারকি করছি। ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা একজন ঘটনাস্থলে থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, মোঃ সোলায়মান, জয়দেবপুর থানার ওসি মোঃ রেজাউল হাসান রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার জানান, তিনি জানতে পেরেছেন অন্যসময় মানি প্ল্যান্টের লোকজন প্রতিদিন রাত ১০-১১টার মধ্যে এটিএম বুথে টাকা লোড করতে যেতেন। কিন্তু টাকা লুটের ঘটনার রাতে আড়াইটা তিনটার দিকে কেন তারা বুথে টাকা লোট করতে গেল এটা রহস্যজনক। আর লুট করে যাওয়ার সময় কেন বুথের গার্ডরা গুলি করলেন না, বাধা দিলেন না- এটাতেও রহস্য রয়েছে। প্রসঙ্গত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর (হরিণহাটি) এলাকার এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড কারখানার গেটের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফাস্টট্রেক এটিএম বুথে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে টাকা লোড করার সময় প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বোঝাই দুটি ট্রাঙ্ক লুট করে পিকআপ ভ্যানে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
×