ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কারমাইকেলে সহযোগী অধ্যাপক পেটালেন সহকারী অধ্যাপককে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১ মার্চ ২০১৬

কারমাইকেলে সহযোগী অধ্যাপক পেটালেন সহকারী অধ্যাপককে

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর ॥ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে সৃষ্ট কোন্দলের জের ধরে কারমাইকেল কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এক সহযোগী অধ্যাপক কলার ধরে পেটালেন এক সহকারী অধ্যাপককে। সোমবার দুপুর ১টায় এ ঘটনার পরই ওই সহকারী অধ্যাপক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গেল একুশে ফেব্রুয়ারির সকালে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে জলখাবার বিতরণের সময় কিছু খাবার কম হয়ে যায়। পরে আবার তা কিনে এনে বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সবুর উদ্দিন ক্ষিপ্ত হন এবং তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়। ঘটনার আট দিন পর সোমবার একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক শেখ শাদীর কাছে জানতে চান, সেদিনের বিষয়টি নিয়ে আর কিছু হয়েছে কি-না? এ সময় শেখ শাদী কিছু জানেন না বলে জানান। এতে শাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হন সহযোগী অধ্যাপক ড. সবুর। এ সময় তিনি শাদীর শার্টের কলার চেপে ধরে ছিঁড়ে ফেলেন এবং চড়-থাপড় মারেন। এ সময় ওই শিক্ষক হতবিহ্বল হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে শিক্ষক সমিতিসহ অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে জানান। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিভাগসহ অন্য বেশ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকরা জানান, ড. সবুর শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে নাজায়েজ কাজ বলে মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি কলেজের সব বিভাগে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও গণিত বিভাগে করা হয় না কোন অনুষ্ঠান। এ প্রসঙ্গে শিক্ষকদের কেউ কেউ জানান, অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান বিভাগীয় প্রধান হলেও তিনি খুব বেশি একটা কলেজে আসেন না। তাই ড. সবুরের খেয়াল-খুশিতেই চলে ওই বিভাগ। শিক্ষকরা আরও জানান, তিনি একজন প্রতিক্রিয়াশীল এবং প্রগতিশীল সকল শিক্ষকের বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। জানা গেছে, এর আগেও তিনি শেখ শাদীকে একবার লাঞ্ছিত করেছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ শাদী কিছু বলতে রাজি না হয়ে জনকণ্ঠকে জানান, তিনি বিচার চেয়ে অধ্যক্ষকে লিখিত জানিয়েছেন। তিনিই এর বিচার করবেন। অন্যদিকে সহযোগী অধ্যাপক ড. সবুর কলার ধরে মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে জানান, ওই সহকারী অধ্যাপক একজন বেয়াদব, সে সিনিয়রদের সম্মান দিতে জানে না। এছাড়া কলেজেও ঠিকমতো আসে না এবং সিনিয়রদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে।
×