ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাটকীয় জয়ে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নাটকীয় জয়ে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আট নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিস মরিসের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে চতুর্থ ওয়ানডেতে ১ উইকেটের ‘নাটকীয়’ জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। জোহানেসবার্গে বোলারদের দাপটময় ম্যাচে ৪৭.৫ ওভারে ২৬২ রানে অলআউট হয় সফরকারী ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৭.২ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। বল হাতে ১ উইকেট নেয়ার পর ৩৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ রান করে ‘নায়ক’ মরিস। বিফলে জো রুটের সেঞ্চুরি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের ‘চমকপ্রদ’ এই জয়ের পর পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে ২-২এ সমতা ফেরাল এবি ডি ভিলিয়ার্সের দ.আফ্রিকা। কার্যত জমে উঠল দুই পরাশক্তির মধ্যকার একদিবসীয় দ্বৈরথ। কেপটাউনে ‘অঘোষিত ফাইনাল’ হয়ে ওঠা সিরিজ ফয়সালার শেষ লড়াই আজই। টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া ইংলিশদের ইনিংসটি ছিল রুট-দ্যুতিতে ভাস্বর। তাকে সহায়তা দিয়েছেন এ্যালেক্স হেলস। দলীয় ১৮ রানে জেসন রয়কে (৬) হারিয়ে ধাক্কা খায় সফরকারীরা। এরপরই দৃশ্যপটে রুট-হেলস। দ্বিতীয় উইকেটে ১২ ওভারে ৬৯ রান যোগ করেন দু’জনে। তবে ঠিক ৫০ রান করে হেলস আউট হওয়ার পর আচমকাই ধসে পড়ে ইংলিশদের ইনিংস। ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিবিষে নীল হয়ে ১৩ রানের ব্যবধানে শীর্ষ পাঁচ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড! অধিনায়ক ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস ও জস বাটলার আউট হন যথাক্রমে ২, ২ ও ১ রান করে! বিপদের মুখে একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই চালিয়েছেন রুট। ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ‘সেনসেশনাল’ ব্যাটসম্যান আউট হন ১০৯ রানে। ১২৪ বলের ইনিংসটি ১০ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। ৪ রান করে মঈন আলি যখন সাজঘরে দলের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ১০৮! মনে হচ্ছিল দুইশ’ও করতে পারবে না অতিথিরা। এই পর্যায়ে ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দেন দুই টেলেন্ডার ক্রিস ওকস (৩৮ বলে ৩৩) ও আদিল রশিদ (২৬ বলে ৩৯)। প্রোটিয়াদের হয়ে কাগিসো রাবাদা ৪, তাহির ৩ ও কাইল এ্যাবট নেন ২টি করে উইকেট। জবাবে দলীয় ১ রানে ওপেনার হাসিম আমলাকে (০) হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টপ-অর্ডারে প্রত্যেক ব্যাটসম্যান আশা জাগিয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলে এক পর্যায়ে ১৪৩ রানে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত তিরিশের কোটা পেরিয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডুপ্লেসিস, জেপি ডুমিনি ও ফারহান বিহারদিয়ান। ১৯১ রানে ষষ্ঠ ও ২১০ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে ঘোরতর বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। তখনই মরিসের ‘অবিশ্বাস্য’ ইনিংস। ইংলিশ বোলারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে ৩৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ রান করেন এই অলরাউন্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আট নম্বরে নেমে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড এটি। আগে যেটি ছিল সাবেক তারকা ল্যান্স ক্লজনারের (৫২) দখলে। সর্বোপরি বিশ্বের মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আট নম্বরে নেমে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেন মরিস। ৪২তম ওভারে রাবাদা (০) ও ৪৮তম ওভারে মরিস আউট হলে ম্যাচ ঝুলে পড়ে ইংল্যান্ডের দিকে। ৩ ও ৪ রানে অপরাজিত থেকে নাটকীয় জয় উপহার দেন এ্যাবট ও তাহির। ইংল্যান্ডের হয়ে রিসি টপলি, বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ নেন ২টি করে উইকেট।
×