ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদে মানববন্ধন

মৌলভীবাজারে চক্ষু হাসপাতালের জমি দখল

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মৌলভীবাজারে চক্ষু হাসপাতালের জমি দখল

নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ॥ বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের মালিকানাধীন জমিতে জবরদখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ ও বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল। শনিবার দুপুরে শহরের চৌমুহনা এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বক্তব্য রাখেনÑ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, এ্যাডভোকেট আজাদুর রহমান আজাদ, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক এএম ইয়াহিয়া মুজাহিদ, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ মাহবুব, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের মাতারকাঁপন এলাকা ১৯৮৬ সালে ডিসির ১নং খতিয়ানের ৮৪১ দাগের ভূমিতে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে ওই হাসপাতালের সভাপতি। সম্প্রতি আবু সালেহ শোয়েব নামের এক ব্যক্তি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে হাসপাতালের ভূমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে এ পর্যন্ত পুলিশ কোন প্রকার সহায়তা করেনি। বরং ভূমি দখলকারীরা হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। এ অবস্থায় জাতীয়মানের এ প্রতিষ্ঠানটি হুমকির মুখে পড়েছে। হাসপাতালের জমি রক্ষা ও সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা। পরে মানববন্ধনকারীরা মিছিলসহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। বাঁশখালীতে বেপরোয়া ইয়াবা পাচার চক্র নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী , ১৩ ফেব্রুয়ারি ॥ মাদক ও ইয়াবা পাচারের প্রধান রুট হিসেবে পাচারকারীরা বেছে নিয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিকল্প রোড বাঁশখালী প্রধান সড়ক। পাচারকারীরা যাতায়াতের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বাঁশখালীর স্থলপথ ও সাগর পথ ব্যবহার করছে। বাঁশখালী এখন ইয়াবা পাচারের প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে। পাচারকারীরা এই এলাকা নিরাপদ ভেবে গড়ে তুলেছে ইয়াবা বিক্রির বিশাল কেন্দ্র। প্রতিদিন পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও ছোটখাট বিক্রেতারা তাদের জালে ধরা পড়লেও মূল হোতারা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ মাদক পাচার রোধে যে কৌশলে অভিযান পরিচালনা করে তার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাচারকারীরা। পুলিশ ও ইয়াবা পাচারকারীদের মধ্যে চলছে এক ধরনের প্রতিযোগিতা। বাঁশখালীতে ইয়াবার ভয়াল থাবা স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, যুবক, সামাজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। পাচারকারীরা যতই শক্তিশালী ও কৌশল অবলম্বন করুক না কেন পুলিশ বাঁশখালী উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার শপথ নিয়েছে। থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বাঁশখালী থানা পুলিশ ইয়াবা ও মাদক পাচার রোধে অভিযান পরিচালনা করে আটক করে ৮৯ জন। উদ্ধার করা হয় ইয়াবা ১৮ হাজার ৬২২টি, দেশীয় ২০ হাজার ৬২৭ লিটার, গাঁজা ৯৫০ গ্রাম। এই সংক্রান্ত মামলা করা হয় ৫১টি। অনুসন্ধানে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট অবাধে প্রবেশ করছে এই দেশে। ইয়াবা চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যতই জব্দ করুক না কেন পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাচার অব্যাহত রেখেছে। এক সময় পাচারকারীরা টেকনাফ কক্সবাজারের আরকান সড়ক ব্যবহার করত। ওই সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি ও অভিযান জোরদার থাকায় ভিন্ন রুট হিসেবে বাঁশখালীকে বেছে নিয়েছে পাচারকারীরা।
×