ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চলে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষ

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চলে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হার মেনে চলে গেলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষ। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানের কিউর মেডিক্যাল সেন্টারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রবিন ঘোষের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। রবিন ঘোষের স্ত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম জানান, শনিবার বিকেলে ওয়ারিতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শবনম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রবিন ঘোষ ক্যান্সার, ব্রঙ্কাইটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। তাকে দু’দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে চলে গেলেন তিনি। এদিকে রবিন ঘোষের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার প্রসঙ্গে সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দীন আলী বলেন, আজ সকালে আমার খুব প্রিয় মানুষ রবিন দা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এই মাপের সুরকার আর ভাল মানুষ শতাব্দীতেও জন্মায় না। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, লাহোরে ১৯৮৭-৮৮ সালে চলচ্চিত্রের মিউজিক করার সময় দিন-রাত আমার সঙ্গে সময় দিয়ে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। পরশু দিনও আমি শবনম দিদির সঙ্গে রবিন দাকে নিয়ে কথা বলেছি। আল্লাহ রবিন দার আত্মার শান্তি দান করুন। ৬০-এর দশকে চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম রবিন ঘোষকে তার চলচ্চিত্রের গানে সুর দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ‘রাজধানীর বুকে’ চলচ্চিত্রের গানের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এরপর থেকে তিনি অগণিত বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেন। এর মধ্যে ‘তালাশ’, ‘পয়সা’ এবং ‘ভাইয়া’ অন্যতম। ‘তুম মেরে হো’ চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর রবিন ঘোষ করাচিতে চলে যান। সেখানে তিনি চলচ্চিত্রের গানে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত একাধারে সুর করেন। তিনি ‘আয়না’ চলচ্চিত্রের গানগুলোর সুরারোপ করেন। এ চলচ্চিত্রটি পরবর্তীতে পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম সফল চলচ্চিত্রের মর্যাদা পায়। রবিন ঘোষ ‘তালাশ’ (১৯৬৩), ‘চকোরী’ (১৯৬৭), ‘চাহাত’ (১৯৭৪), ‘আয়না’ (১৯৭৭), ‘আম্বার’ (১৯৭৮) এবং ‘দরিয়ান’ (১৯৮৪) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে নিগার পুরস্কার লাভ করেন।
×