ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে পিটিয়ে শিশু হত্যা ॥ অটোয় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজধানীতে পিটিয়ে শিশু হত্যা ॥ অটোয় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ডেমরায় এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ভাটারায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওড়না পেঁচিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পল্লবীতে একই পরিবারের ৫ নারী দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় জনকণ্ঠের সাংবাদিক উজ্জল আহত হয়েছেন। শনিবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজধানীর ডেমরায় দশ বছরের এক শিশুর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার বিকেলে আমুলিয়া মডেল টাউন আবাসিক এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কাওসার জানান, শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা মডেল টাউন এলাকায় শিশুর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে অজ্ঞাত ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা ভোররাতের কোন এক সময় শিশুটিকে হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে। তার গলায় ও নাভির ডান পাশে জখম পাওয়া গেছে। এছাড়া নাভির বাম পাশে পেটের ভূঁরি বেরিয়ে গেছে। বাম কাঁধের অংশে ফুলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। অটোরিকশায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু ॥ রাজধানীর ভাটারায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওড়না পেঁচিয়ে অনামিকা সরকার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বামীর নাম পলাশ সরকার। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝারা থানা এলাকায়। তারা রাজধানীর পূর্ব ভাটারার লিটন সরদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রতিবেশী উজ্জ্বলা সরকার জানান, শুক্রবার রাতে তিনি (উজ্জ্বলা) অনামিকার সঙ্গে অটোরিকশায় শাহজাদপুর মার্কেটে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অনামিকার দুই যমজ ছেলে রাকেশ ও রাজন ছিল। পথি মধ্যে হঠাৎ অনামিকার ওড়না অটোরিকশার চাকার সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ এএসআই সেন্টু চন্দ্র দাস জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গ রাখা হয়েছে। পাঁচজন দগ্ধ ॥ রাজধানীর কাফরুলে একই পরিবারের ৫ নারী দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ হচ্ছেন, আমেনা বেগম (৪৭), তার মেয়ে হৃদিতা (১৬), আমেনা বেগমের ভাগ্নি রাইনা আক্তার (২০), ছেলের বউ স্বপ্না আক্তার (২০) ও তার ছোট ভাইয়ের বউ শামিমা আক্তার (৩০)। এদের মধ্যে আমেনা বেগম ও তার মেয়ে হৃদিতার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত শামিমার ছেলে সাইফ জানান, শুক্রবার রাতে মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৮ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর পাঁচ তলা ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকে তারা। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ করে তাদের ঘরের পাশে রাখা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনই তাদের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মাসহ অন্যরা দগ্ধ হন। এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির জানান, ওই পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় মোটরসাইকেল থেকে আগুন লেগে ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। সড়ক দুর্ঘটনায় জনকণ্ঠের সাংবাদিক উজ্জল আহত ॥ রাজধানীর মালিবাগে সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদনা সহকারী সাংবাদিক উজ্জলুর রহমান শিমুল গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতের পরিবার জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় মোটরসাইকেলে অফিসে যাওয়ার পথে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় আবুল হোটেলের সামনে ট্রাফিক সিগন্যালে পড়েন উজ্জলুর রহমান। সে সময় রামপুরা থেকে মালিবাগগামী সুপ্রভাত সার্ভিসের একটি বাস ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে পেছন থেকে একটি পিকআপকে ধাক্কা দিলে সেটি মোটরসাইকেলসহ আরেকটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। সিগন্যালে উপস্থিত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চালক-হেলপারসহ বাসটি আটক করে। পরে পথচারীরা উজ্জলকে উদ্ধার করে প্রথমে খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
×