স্বপ্নকে জয় করি
আমার যখন ইচ্ছে আমি
তা পারি না করতে
বাধা বিঘেœর অক্টোপাসে
বন্দি পরতে পরতে।
ঘুম ভাঙতেই মায়ের বকা
পড়বে কখন শুনি?
মেঝ কাকা বলবে হেসে
ধরবে কে টুনটুনি।
আপু পড়েন হাই স্কুলে
ভয় দেখায় সে স্যারের
ভেংচি কেটে বলে কিনা
বুঝুবি ঠেলা মারের।
প্রাইভেট পড়ে উঠবো কি আর
বাবা বলেন কইরে
কাঁধের উপর বইয়ের বোঝা
স্কুলে যাই দৌড়ে।
আমায় নিয়ে সবার নাকি
স্বপ্ন অনেক বড়
পাহাড় সমান কিংবা আকাশ
ছুঁবো আমি ধরো;
তাই তো সবার খুব তাগাদা
আমি যেন পড়ি
লেখাপড়া শিখে শিখে
স্বপ্নকে জয় করি।
শীতের দিনে
শীতের দিনে ঠা-া লাগে
গরম কাঁথা গায়
ঘুমিয়ে গেলে শীতের বুড়ি
আদর দিয়ে যায়।
সকাল হলে মায়ের হাতের
গরম ভাপা পিঠা
খেজুর রসে আহ কি দারুণ
খেতে লাগে মিঠা।
শাদা শাদা কুয়াশাগুলো
যেন চাদর বুনে
গাছ পালা সব পাতা ঝরায়
বসন্ত দিন গুনে।
ঝাঁকে ঝাঁকে শীতের পাখি
খালে বিলে উড়ে
মিষ্টি গলায় গান গেয়ে যায়
আকাশটাকে ফুঁড়ে।
এমন দিনে নদীর ধারে
যাও বেড়াতে যাও
নদীর কাছে ফুলের কাছে
আনন্দে গান গাও।
মনের সাধ
সারাদিন পড়া পড়া
অংক কবিতা ছড়া
সাথে আরো কতকিছু
আনমনে ভাবি যেই
হারিয়ে ফেলি খেই।
আমাকে রেখোনা বেঁধে
আমি যাবো দূর দেশে
রৌদ্রের ছায়া হয়ে
পরিদের কায়া হয়ে
মেঘেদের সাথে ভেসে।
আমি যাব দূর দেশে
পানসি তরীতে ভেসে
ডাকছে আমায় পাখি
পড়াবে রঙিন ‘রাখি’
খেলে যাবো হেসে হেসে।
দূরের পাহাড় ডাকে
এসো না নদীর বাঁকে
মাছেরা করছে খেলা
জমিয়ে ভীষণ মেলা
পরিরা নাচবে দেখো
আমের শাখে।
দুরন্ত কিশোর মন
মানে না শাসন বাধ
ছুটে চলে দূরে দূরে
ঘুরে বেড়াই উড়ে উড়ে
মনে জাগে এই সাধ।