ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে হামলা ॥ বাড়িতে আগুন

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লক্ষ্মীপুরে হামলা ॥ বাড়িতে আগুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি ॥ রামগতি উপজেলার টাংকি বাজার গ্রামে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে অন্তত তিনটি বসতবাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে হাতিয়ার ভূমি দস্যু মোহাম্মদ আলীর লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী। একই সময়ে সন্ত্রাসীরা কৃষকদের গোখাদ্যের তিনটি খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে। এতে বসতঘর ও খড় সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়। এর আগে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সোয়া ৮টার দিকে টাংকি বাজার থেকে প্রায় দেড় কি.মি. দূরে একই গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা বসতবাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার জন্য ঘরের লোকজনকে হুমকি ধামকি দেয়। বসতঘর থেকে বের না হওয়ায় এ সময় সন্ত্রাসীরা নারী-পুরুষ শিশুসহ অনেককে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একই সময়ে হাতিয়ার সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে নারী পুরুষসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে খুরশিদা বেগম আশঙ্কাজনক। তাকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর অবস্থার অবনতির পর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাতিয়ার ভূমি দস্যু সন্ত্রাসীরা টাংকি বাজার থেকে আব্দুর রহিম নামে কাঠ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার পিতার নাম জয়নাল আবেদিন। তার বাড়ি রামগতি উপজেলার চরগাজীর টাংকি বাজার গ্রামে। পরে তাকে হাতিয়ার ভূমি দস্যু মোহাম্মদ আলীর লালিত বাহিনী অপহৃত কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে একটি অস্ত্র দিয়ে হাতিয়ার নলচর পুলিশ ফাঁড়িতে ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের রামগতির বয়ারচরবাসীর মাঝে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুড়িয়ে দেয়া বসতবাড়ির মধ্যে রয়েছে হাসান, খুরশিদা, কালাম ও আব্বাসের বাড়ি। এ নিয়ে হাতিয়ার ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী বাহিনী সপ্তাহের মাথায় তিনবার হামলা চালিয়ে বিশজনকে আহত করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার টাংকিবাজারের মৎস্যজীবী সভাপতি আব্দুর রবকে অপহরণের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দেয়। এ সময় কুপিয়ে তাকেও গুরুতর আহত করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় বয়ারচরবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মঙ্গলবারও অপর হামলায় পাঁচজনকে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। বয়ারচরবাসীর বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ এবং তাদের ফসলী জমি দখলের জন্য অব্যাহতভাবে এ হামলা চালানো হচ্ছে বলে চরগাজীর ইউপি চেয়ারম্যান তাওহিদুল ইসলাম সুমন অভিযোগ করেছেন। সিলেটে আহত ৫০ স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস থেকে জানান, সদর উপজেলার বাদাঘাট এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকাগুলি ছুড়ে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামবাসী ও মোগলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনুর লোকজন মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সোনাতলা, মইয়ারচক, বাদাঘাট এলাকায় ঢাকার একটি কোম্পানি জমি ক্রয় করে আসছে। ওই কোম্পানির পক্ষে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে স্থানীয় মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনু কাজ করছেন। গত ডিসেম্বর মাসে সোনাতলা গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে জমি ক্রয় নিয়ে চেয়ারম্যান শামছুল ইসলামের ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর টুনু চেয়ারম্যান কয়েকশ’ লোকজন নিয়ে সোনাতলা-বাদাঘাট এলাকায় মহড়া দেন। এ সময় সোনাতলা গ্রামবাসীও সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়। তবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি বেশিদূর গড়ায়নি। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ঐ সভা থেকে সোনাতলা এলাকায় টুনু চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার সকালে টুনু চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে বাদাঘাটস্থ সোনাতলা এলাকায় এসে একটি ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাতলা ও মইয়ারচক গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত ৩০ স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, শুক্রবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা ও মৈশার গ্রামে সিএনজি রাখা নিয়ে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও বারার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন খড়িয়ালা এলাকায় একটি দোকানের সামনে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা রাখাকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে বাক-বিত-া হয়। এর জের ধরে দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টায় খড়িয়ালা ও মৈশার গ্রামের কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বগুড়ায় আহত দুই স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাশেদুল ইসলাম (৩৫) রাজীব (৩৪) নামে দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে হামলাকারীরা। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে রাশেদুল তার কয়েক সহযোগীদের নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে ফুলবাড়ি এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ৭/৮ জন তাদের ওপর রাম দা দিয়ে হামলা চালায় ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু’জন গুরুতর আহত হয়।
×