ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাটোরে বাল্যবিয়ে ॥ চার অভিভাবকের দণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নাটোরে বাল্যবিয়ে ॥ চার অভিভাবকের দণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১২ ফেব্রুয়ারি ॥ বাল্য ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন অভিভাবকের কারাদ- ও একজনের অর্থদ- এবং মুচলেকা দিয়ে দুই বালিকার বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট নায়িরুজ্জামান এই আদেশ দেন। এলাকাবাসী জানায়, নওপাড়া ও.জি বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মুনিরা খাতুন ও একই উপজেলার ইসলাবাড়ি গ্রামের বিলকিস খাতুন সুমির বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রস্তুতি চলছিল। শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য হয়। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নায়িরুজ্জামান পুলিশ পাঠিয়ে ওই দুই মেয়ের অভিভাবকদের ডেকে আনেন। পরে বাল্যবিয়ে দেবে না মর্মে উভয়ের অভিভাবকের কাছে মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। মুনিরা সদর উপজেলার পশ্চিম হাগুড়িয়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের মেয়ে এবং বিলকিস খাতুন একই উপজেলার ইসলাবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। অপরদিকে, নবম শ্রেণীর ছাত্রী বারহাট গ্রামের সাজেদুল ইসলামের মেয়ে তানিয়ার ৩১ জানুয়ারি বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নায়িরুজ্জামান সেখানে গিয়ে অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে তানিয়ার বিয়ে বন্ধ করে দেন। কিন্তু তানিয়ার বাবা সাজেদুল ইসলাম গোপনে তার মেয়ের বিয়ে দেন। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তানিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাজেদুল ইসলামের বাড়িতে এসেছে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ ফোর্সসহ তানিয়ার বাড়িতে যান। তার উপস্থিতি টের পেয়ে তানিয়াসহ তার স্বামী, বাবা ও শ্বশুর পালিয়ে যান। আটক করা হয় তানিয়ার মা তাহমিনা খাতুন, ফুফু বেদেনা খাতুন ও শাশুড়ি মাবিয়াকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাহমিনা খাতুনকে এক মাস, বেদেনা খাতুনকে ৭ দিন ও শাশুড়ি দুলালী খাতুনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও চাচিশাশুড়ি মাবিয়া খাতুনকে এক হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেন।
×