ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওয়েলিংটনে অস্ট্রেলিয়ান দিন

গর্বের টেস্ট ম্যাককুলামের শূন্য

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গর্বের টেস্ট  ম্যাককুলামের শূন্য

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শততম, তার ওপর বিদায়ী সিরিজের প্রথম টেস্ট। ওয়েলিংটনে দৃষ্টি ছিল ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ওপর। কিন্তু হতাশ করলেন কিউই অধিনায়ক। ঐতিহাসিক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শূন্য (০) রানে সাজঘরে ফিরলেন আধুনিক নিউজিল্যান্ডের চিত্তাকর্ষক এই ব্যাটসম্যান। অসি পেস তোপে দলের অবস্থাও সঙ্গীন। মাত্র ৪৮ ওভারে ১৮৩ রানে অলআউট স্বাগতিকরা। জবাবে প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৪৭ রান। ৭ উইকেট হাতে থাকা স্টিভেন স্মিথের দল মাত্র ৩৬ রানে পিছিয়ে। ৫৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা উসমান খাজা, ব্যক্তিগত ৭ রানে তার সঙ্গে আছেন এ্যাডাম ভোজেস। কেবল শততম হলে আলোচনার কিছু ছিল না। কারণ ৬৩ ক্রিকেটার এ পর্য়ন্ত এক শ’ বা তার বেশি সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু একটি জায়গায় ব্যতিক্রম ম্যাককুলাম। বিরলই বলতে হবে। ২০০৪ সালে অভিষেকের পর শততম টেস্ট খেলার পথে একটি ম্যাচও মিস করেননি কিউই উইলোবাজ! অভিষেকের পর টানা ম্যাচ খেলার রেকর্ডে তিনি পেছনে ফেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সকে (৯৮)। তার ওপর আগেই ঘোষণা দেয়ায় এটিই ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ। এত সব অনুষঙ্গ একই সঙ্গে মিলে যাওয়া ম্যাচে রানে খাতা খেলার আগে সাজঘরে ম্যাককুলাম! ৮ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড যখন চরম বিপদে তখন বিদায়ী হিরোর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল বেসিন রিজার্ভের গ্যালারি। দুরন্ত বল করতে থাকা জস হ্যাজলউডের ভেতরে ঢুকে যাওয়া ডেলিভারিটি কাট করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু টাইমিংয়ে হেরফের হওয়ায় ব্যাট ছুঁয়ে সিøপে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে তালুবন্দী হন ম্যাককুলাম। স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো গ্যালারি, পুরো নিউজিল্যান্ডও নয় কি? অধিনায়ক হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমে ‘শূন্য’ রানে আউট হওয়া মাত্র ষষ্ঠ ক্রিকেটার ম্যাককুলাম। জীবনের শেষ সিরিজের প্রথম ইনিংসের এমন লজ্জার রেকর্ডটা তিনি হয়ত ভুলেই থাকতে চাইবেন। কেন্দ্রীয় চরিত্র ফেরার পর কিউইরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বলা ভাল স্বাগতিকদের ঘুরে দাঁড়ানোর এতটুকু সুযোগ দেননি অতিথি পেসাররা। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪১ নয় নম্বরে নামা মার্ক ক্রেইগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান ছয় নম্বরে নামা কোরি এ্যান্ডারসনের! সঙ্গে শেষ ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্ট ২৪ রান না করলে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো স্বাগতিকদের। দলের ভা-ারে ৯৭ রান যোগ করতে সাত উইকেটের পতন, ১৯৯৬ সালের পর দলটি এই প্রথম এমন ভরাডুবির মধ্যে পড়ে। ঘরের মাটিতে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা আর একবারই প্রথম ইনিংসে এর চেয়ে কম রানে অলআউট হয়েছিল (১৬৮, বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা)। হ্যাজলউড ৪, পিটার সিডল ও নাথান লেয়ন নেন ৩টি করে উইকেট। জবাবে দলীয় ৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার জো বার্নস (০) ও ওয়ার্নারকে (৫) হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াও বিপদে পড়েছিল। এরপরই দৃশ্যপটে খাজা ও স্মিথ। ৭১ রান করে আউট হন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। সাউদি নিয়েছেন ২ উইকেট। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ১৮৩/১০ (৪৮ ওভার; ক্রেইগ ৪১*, এ্যান্ডারসন ৩৮, বোল্ট ২৪, গাপটিল ১৮, ওয়াটলিং ১৭, উইলিয়ামসন ১৬; হ্যাজলউড ৪/৪২, লেয়ন ৩/৩২, সিডল ৩/৩৭)। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ১৪৭/৩ (৪০ ওভার; স্মিথ ৭১, খাজা ৫৭*; সাউদি ২/২২)। ** প্রথম দিন শেষে
×