ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চিনি, ভোজ্যতেল, লবণ ও রসুনের দাম বেড়েছে, চাল, ডাল স্থিতিশীল

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চিনি, ভোজ্যতেল, লবণ ও রসুনের দাম বেড়েছে, চাল, ডাল স্থিতিশীল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অস্থির হয়ে উঠছে চিনির বাজার। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। রাজধানীর কোন কোন বাজারে এই দামের চেয়েও বেশি গুনতে হচ্ছে খুচরা ক্রেতাদের। দাম বাড়ার তালিকায় আছে ভোজ্যতেল, লবণ ও রসুন। প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, আটা ও ডালের দাম। আলুসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম কমলেও বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। মিঠা পানির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শীতকালীন উৎসবের চাপে কিছুটা বেড়েছে মুরগি ও হাঁসের দাম। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মালিবাগ বাজার ও কাওরান বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল গনি মিয়া জানান, তিনি খোলা সয়াবিন তেল ৮৭ টাকা, পাম তেল ৬৪ টাকা এবং সুপার পাম ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। একই বাজারের দোকানদার রাসেল জানান, তিনি সয়াবিন তেল ৯০ টাকা, পাম তেল ৬৫ টাকা এবং সুপার পাম তেল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তবে মালিবাগ বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ৯২ টাকা কেজি দরে খোলা সয়াবিন বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের সয়াবিন তেল ৮৬ টাকা কেনা পড়েছে, সঙ্গে পরিবহনের খরচ আছে। তাই তারা প্রতিকেজি ৯০-৯১ টাকায় বিক্রি করেন। বছরের শুরুতে খুচরা সয়াবিন ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। কয়েক ধাপে বেড়ে এখন তা ৯০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর গত সপ্তাহ থেকে বেড়ে যাচ্ছে চিনির দাম। চিনির বাজার এখন চড়া। কারওয়ান বাজারে পাইকারি বিক্রেতা রাজু জানান, বর্তমানে ৫০ কেজি চিনির বস্তার দাম ২ হাজার ২৩০ টাকা। এক মাস আগেও ১ হাজার ৮৫০ টাকায় বস্তা বিক্রি হয়েছে। তার মতে, চিনির কেজি এখন ৪৪ টাকা, যা গত মাসের শুরুর দিকে ৩৫-৩৬ টাকা ছিল। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে পরিশোধক কোম্পানিগুলো লবণের বাড়তি দাম নিতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এখন মোটা লবণ ২২ টাকা এবং চিকন লবণ ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মিল মালিকরা বলছেন, দুই সপ্তাহ আগে কাঁচামালের সঙ্কটের কারণে লবণের দাম কিছুটা বেড়েছিল। এখন দাম আবার কমতির দিকে আছে। শুক্রবার অন্য পণ্যের মধ্যে মুরগির ডিমের ডজন ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার অধিকাংশ স্থানেই ডিমের দাম বাড়তি দেখা গেছে। তবে বাজারে কমেছে আলুর দাম। এছাড়া শাকসবজি ও কাঁচা তরকারির দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, বর্তমান প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৬ টাকায়। গত সপ্তাহে এই আলু ১৮-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২-২৪ টাকায়। এছাড়া বাড়তির দিকে রয়েছে ডিমের দাম। প্রতিহালী ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৬ টাকায়। এছাড়া রসুনের দাম বাড়ছেই। প্রতিকেজি রসুন ১৪০-১৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত এবং দেশী সব রসুনের দাম উর্ধমুখী। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও ভোক্তাদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। চাল, আটা, ময়দা, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়। সরু চালে ৪৪-৫৬ এবং মাঝারি মানের চালে ৪০-৪৪ টাকা ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে।
×