ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাগুরায় সিসি ক্যামেরার কল্যাণে অপরাধ কমেছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মাগুরায় সিসি ক্যামেরার কল্যাণে অপরাধ কমেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা, ১১ ফেব্রুয়ারি ॥ মাগুরা শহরে শতাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় অপরাধ প্রবণতা কমেছে। ফলে শহরবাসীর মধ্যে স্বস্তির ভাব দেখা যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরা লাগানোর আগে প্রতিমাসে যেখানে অপরাধের ঘটনা ঘটত ১৬০ থেকে ১৭০টি সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর অপরাধ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৯টি। পুলিশ বলছে, অপরাধের ঘটনা আরও কমবে। জানা গেছে,আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগানো হয়েছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। হরের ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাজার, মীরপাড়া-পারলা, নিজনান্দুয়ালী, চৌরঙ্গী, ভায়না, জজকোর্টের সামনে, সরকারী মহিলা কলেজ গেট, সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার কারণে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পাওয়ায় অপরাধ প্রবণতা কমছে। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। সিসি ক্যামেরার কারণে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও মাদক বিক্রেতাদের দৌরাত্ম্য কমেছে। ক্যামেরাতে ফুটেজ ওঠার ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ অপরাধ করছে না। মাগুরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় জানান, ডিসেম্বর ২০১৫ মাসে অপরাধের ঘটনা ঘটেছে ১৭০টি সেখানে জানুয়ারি ২০১৬ মাসে অপরাধের ঘটনা কমে ঘটেছে ৯৯টি। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ১৫ পর্যন্ত তিন মাসে ৩৫৫টি অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে জানুয়ারি অপরাধ প্রবণতা কমেছে। তিনি জানান, সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে অপরাধ কমেছে এবং আস্তে অস্তে আরও কমবে। এদিকে পূর্বে মহিলা কলেজের সামনে বখাটেদের ভিড় থাকলেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর তাদের দেখা যাচ্ছে না বলে ছাত্রীরা জানান। আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সূর্যকান্ত বিশ্বাস জানান, তার কলেজ সিসি ক্যামেরা বসানোয় অপরাধ প্রবণতা অনেকে কমেছে। কাটাখালী গ্রামের শিক্ষনবিস আইনজীবী আব্দুল আলীম জানান, কাটাখালী বাজারে ডাকাতির ঘটনার পর বাজারে সিসি ক্যামেরা লাগানোয় অপরাধ প্রবণতা চুরি ডাকাতি বর্তমানে নেই। পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল জানান, পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে । পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ জানান, চুরি, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তারা কাজ করছেন। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে অপরাধ প্রবণতা অনেক কমেছে।
×