ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডি’কক-আমলার সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়াল দ. আফ্রিকা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ডি’কক-আমলার সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়াল দ. আফ্রিকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কুইন্টন ডি’কক ও হাশিম আমলার দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেয়া ৩১৮ রানের চ্যালেঞ্জ প্রোটিয়ারা টপকে গেল ৭ উইকেট ও ৩ ওভার ৪ বল হাতে রেখে! দারুণ এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করল এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। একদিবসীয় ক্রিকেটে সেঞ্চুরিয়নে রান তাড়া করে জয়ের নতুন রেকর্ড এটি। ১৩৫ রানের চিত্তাকর্ষক ইনিংস উপহার দিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের ‘নায়ক’ ওপেনার ডি’কক। এর মধ্য দিয়ে কম বয়সে ১০ সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ডেও ভারতের বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলেন জোহানেসবার্গে জন্ম নেয়া ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান! সেঞ্চুরি পেয়েছেন সঙ্গী আমলাও। চতুর্থ ওয়ানডে শুক্রবার। টস জিতে ব্যাটিং নেয়া ইংল্যান্ডকে রানের পাহাড়ে চড়ান জো রুট। দলটির সময়ের সেরা তারকা খেলেন ১২৫ রানের ম্যারাথন ইনিংস। এছড়া এ্যালেক্স হেলস ৬৫ ও বেন স্টোকস করেন ৫৩ রান। ৩১৮ রান তাড়া করে ম্যাচট জিততে হলে সেঞ্চুরিয়নে নতুন রেকর্ড গড়তে হতো। সুপারস্পোর্ট পার্কের অসমান গতি ও বাউন্সের মধ্যেও চমৎকার ব্যাটিং করে ম্যাচটা নিজেদের করে দলকে সিরিজে টিকিয়ে রেখেছেন ডি’কক আর আমলা। বলা যায় ব্যাট হাতে কঠিন কাজটা অবলীলায় করেছেন এই দু-জনে। ২৩৯ রান যোগ করে ইংলিশদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন তারাÑ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওপেনিং জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। এক বছর আগে রাইলি রুশোকে নিয়ে আমলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন সর্বোচ্চ ২৪৭। তুখোড় আমলা থাকলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডেও। আধুনিক দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম ব্যাটসম্যান আমলা ১৩০ বলে ১৩ চার ও ২ চক্কায় ১২৭ রান করে আউট হন। আর ১১৭ বলে ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে দারুণ এক রেকর্ডের মালিক বনে যান ডি’কক। সবচেয়ে কম বয়সে ১০ ওয়ানডে সেঞ্চুরির তালিকায় তিনি পেছনে ফেলেন ভারতীয় সেনসেশন কোহলিকে। ২৩ বছর ৫৪ দিন বয়সে, ক্যারিয়ারের ৫৫তম ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন ডি’কক। কোহলি ১০ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২৩ বছর ১৫৯ দিন বয়সে, ম্যাচ খেলতে হয়েছিল ৮৩। ২০১৩ সালে নিজের অভিষেকের বছরই ভারতের বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জহির আব্বাস, সাঈদ আনোয়ার, হার্সেল গিবসদের পাশে নাম লিখিয়েছিলেন। বলা হয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকরের অনেক রেডর্ক ভেঙ্গে দেবেন কোহলি, ডি’কক তাহলে কোন পথে হাঁটছেন? রান তাড়া করে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের রেকর্ডটা প্রায় সেরেই ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটি না হলেও ম্যাচটা কিন্তু সহজেই জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে কোণ্ঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচটা হারলে দুই ম্যাচ আগেই সিরিজ শেষ হয়ে যেত, ঠিক এই অবস্থায় রেকর্ড রান তাড়া করে জয় বাকি দুই ম্যাচে প্রোটিয়াদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে। গত ১৪ বছরের নিজেদের মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডে টানা দুটি সিরিজে হারের নজির নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট হারের পর এবার সেই শঙ্কার মুখেই ঘুরে দাঁড়াল দলটি। কঠিন সমীকরণের ম্যাচে চাকাটা ঘোরালেন ডি’কক ও আমলা। সেই সঙ্গে আশা বাঁচিয়ে রাখল ডি ভিলিয়ার্সের দল। মাঠের সতীর্থ, ধারাভাষ্য কক্ষের বোদ্ধা, এমন কি ‘অবিশ্বাস্য’ ডি’কককে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ইয়ন মরগানও।
×