ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঙ্গা হয়ে উঠেছে গুজরাটের হীরার ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চাঙ্গা হয়ে উঠেছে গুজরাটের হীরার ব্যবসা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চীনসহ পুরো বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়ায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ভারতের গুজরাটের হীরার ব্যবসা। দীপাবলির পর থেকে এখন পর্যন্ত হীরার দামের পাশাপাশি বেড়েছে বিক্রিও। তবে পণ্য ও সেবা কর-জিএসটি বিলটি দেশটির সংসদে পাস হলে হীরা শিল্পে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হবে, যা হীরার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। হীরার শহর হিসেবে পরিচিত ভারতের গুজরাট প্রদেশের সুরাটে এখন জমজমাট প্রক্রিয়াজাত হীরার বেচাবিক্রি। তাই পুরোদমে চলছে হীরা কাটিং এবং পলিশিংয়ের কাজ। দীপাবলির আগে বিক্রি বেশি হওয়ার কথা থাকলেও এ সময়টায় আশঙ্কাজনকহারে কমেছিল মূল্যবান এ ধাতুটির চাহিদা। চীনারা বিলাসবহুল পণ্য কেনা কমিয়ে দেয়ায় তার নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছিল সুরাটের হীরা ব্যবসায়। তাই ২০১৫ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত এ খাত সংশ্লিষ্ট ৫ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছে। তবে গত ৩ মাস ধরে বেশ চাঙ্গা এ ব্যবসা। সুরাট ডায়মন্ড এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দীনেশ নাভাদিয়া বলেন, ‘গত বছর দীপাবলির আগে এ শিল্পের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, হীরা প্রক্রিয়াজাতকরণ কমিয়ে দেয়ার কথা ভাবতে হয়েছিল আমাদের। তবে দীপাবলির পর ভারতসহ পুরো বিশ্বেই ডায়মন্ডের চাহিদা বেড়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ এবং বিক্রির দামের মধ্যে সামঞ্জস্য এসেছে। মুনাফাও হচ্ছে আমাদের।’ দীপাবলির পর থেকে এখন পর্যন্ত পলিশ না করা হীরার দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ। আর পলিশ করা হীরার দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এছাড়া গত মাসেই পলিশ করা হীরার বিক্রি বেড়েছে ১ থেকে ২ শতাংশ। তবে জিএসটি বিল লোকসভায় পাস হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এ ব্যবসায়। সেতাবগঞ্জ চিনিকলে আখ মাড়াই শেষ হলেও কাটেনি আর্থিক সঙ্কট স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের একমাত্র বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস্ লি. এর চলতি ২০১৫-১৬ মাড়াই মৌসুম শেষ হলেও মিলটি আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রায় ২ কোটি টাকা বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন শ্রমিক-কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। চিনিকল সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৭শ’ ৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর মিলটি চালু হয়। মিল চলার কথা ছিল ৪৩ দিন। সেখানে ৪৪ হাজার ৭শ’ ৬৪ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৫ দিনে মিলটি চিনি উৎপাদন করেছে ২ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহীদ উল্লাহ জানান, চলতি মৌসুমে মিলে কোন প্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি না দেখা দেয়ার কারণে উৎপাদিত চিনির গুণগতমান বিগত কয়েক বছরের উৎপাদিত চিনির তুলনায় অনেক ভাল। চিনির গুণগতমান আরও ভাল করার জন্য এ মিলে একটি সেন্টিফিক্যাল মেশিন বসানোর পরিকল্পনা চলছে। ইতোমধ্যেই মেশিনের টেন্ডার হয়ে গেছে। আখচাষীদের আর্থিক সমস্যার সমাধান হলেও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রায় ২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। উল্লেখ্য, সেতাবগঞ্জ চিনিকল ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর নতুন করে ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু করে।
×