ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মানুষের মন বুঝতে পারে ঘোড়া!

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মানুষের মন বুঝতে পারে ঘোড়া!

অভিজাত প্রাণী হিসেবে ঘোড়ার নাম সবার জানা। আদিকাল থেকেই ঘোড়াকে শৌর্যের প্রতীক বলা হয়ে থাকে। বিশ্বের বিখ্যাত বীরদের যুদ্ধজয়ে ঘোড়ার অবদান রয়েছে। তবে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বন্ধুপ্রাণী ঘোড়া মানুষের মনের ভাষা সহজেই বুঝতে পারে। কোন্টা আনন্দের আর কোন্টা বেদনার এটা সহজেই বুঝে সেভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষমতা ঘোড়ার রয়েছে। ব্রিটেনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রথমবারের মতো ঘোড়ার আচরণের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই চমৎকার তথ্য পেয়েছেন। গবেষণাটি বুধবার বায়োলজি লেটারসে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক দলটি ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাসেক্স ও সারে শহরের অন্তত ২৮টি ঘোড়ার ওপর এই গবেষণা চালান। ওই গবেষণার ফলাফলই বুধবার প্রথবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাকালে ঘোড়াগুলোর সামনে তার মনিবের কিছু রাগান্বিত আর কিছু সুখস্বচ্ছন্দের ছবি দেখানো হয়। রাগান্বিত ছবিগুলো দেখানোর সময় ঘোড়াগুলো নেতিবাচক অভিব্যক্তি দেখায়। আর সুখস্বচ্ছন্দের ছবি দেখানোর পর ঘোড়াগুলোর অভিব্যক্তি ছিল ঠিক তার উল্টো। রাগান্বিত ছবি দেখানোর পর ঘোড়াগুলো তার বাঁ চোখ দিয়ে তাকিয়েছে। এ সময় এটির মধ্যে এক প্রকার দুশ্চিন্তা উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। অপরদিকে একই ঘোড়াকে তার মনিবের সুখস্বচ্ছন্দের ছবি দেখানোর পর এটি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এ সময় ঘোড়াগুলোর মধ্যে কোন উদ্বেগ দেখা যায়নি। গবেষণা দলটির সহ-প্রধান এ্যামি স্মিথ বলেন, গবেষণাটি সত্যিই মজার ছিল। ঘোড়া একটি অবুঝ প্রাণী হলেও এটি সহজেই মানুষের মনের ভাষা পড়তে পারে। আর এই প্রথম দেখা গেল যে ঘোড়া মানুষের মনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক সহজেই পড়তে সক্ষম। তিনি বলেন, ইতিবাচক ছবি দেখার পর ঘোড়ার হৃদস্পন্দনও বেড়ে গিয়েছিল। এ সময় ঘোড়াগুলো মাথা নাড়ায় এবং মুখে রাগের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর ঘোড়াগুলো এ সময় বাঁ চোখ দিয়ে তাকায়। কিন্তু ইতিবাচক ছবি দেখানোর পর এসব হয়নি। গবেষণা দলটির অপর সহ-প্রধান প্রফেসর কারেন মকম্ব বলেন, গবেষণায় ঘোড়ার আচরণের আরও অনেক দিক উঠে এসেছে। ঘোড়া মনিবের মনের অবস্থা বুঝে তার সঙ্গে সেই রূপ আচরণ করে। আবার জীবদ্দশায় ঘোড়া তার মনিবের অনেক জীবনাচারণের সঙ্গেও নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়। সায়েন্স ডেইলি অবলম্বনে।
×