ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চিনির বাজার অস্থির

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চিনির বাজার অস্থির

বিশেষ প্রতিনিধি॥ দেশের পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনির দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। খুচরা বাজার ভেদে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। সরকারি মিলে পরিশোধিত চিনির দাম বাড়ায় পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বাজারে সাধারণত সরকারি মিলের লালচে দানার চিনি ও বেসরকারি মিলের সাদা দানার চিনি পাওয়া যায়। বর্তমানে উভয় ধরনের চিনির দামই বেড়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বলেন, ২০-২৫ দিন আগে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনির দাম ছিল এক হাজার ৭০০ টাকা থেকে এক হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম ছিল ৩৪-৩৫ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি বস্তা চিনির পাইকারি দাম ছিল দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ২৫০ টাকা। আর প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৪৪-৪৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি বস্তা সাদা চিনির দাম দুই হাজার ১৫০ টাকা ও প্রতি বস্তা লাল দানার চিনির দাম দুই হাজার ২০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে মিলগেটে প্রতি কেজি চিনির দাম ৪৪ টাকা। রেশনের চিনি খোলাবাজারে বিক্রি হওয়ায় সরকারি চিনির দাম কিছুটা কম। চিনি ব্যবসায়ী আনোয়ার হাবিব বলেন, সরকার চিনির দাম কেজিতে আট টাকা বাড়িয়েছে। ফলে বেসরকারি মিলমালিকরাও চিনির দাম বাড়িয়েছেন। সরকারি গুদামে অনেক চিনি জমে আছে বললেও এখন তার পরিমাণ কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশীয় চিনির চাহিদা বাড়াতে ও আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সরকার প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়িয়েছে আট টাকা। এ কারণে বেসরকারি চিনির দামও বেড়েছে। আনোয়ার হাবিব আরও বলেন, বর্তমানে পাইকারি বাজারে সাদা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা। আর লাল দানার চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমানে দেশের চাহিদার সিংহ ভাগ চিনি সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ১৯টি চিনি কল। ফলে তারা দাম বাড়ালে তার প্রভাব বাজারে পড়বেই। সরকার চিনির দাম না কমালে চিনির দাম কমবে না। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৪৮ টাকা বিক্রি হয়। রাজধানীর হাতিরপুল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে যা দাম বেড়েছে, তার চেয়ে তিন-চার টাকা বাড়িয়ে খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি। মৌলভী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি গোলাম মাওলা বলেন, এখন চিনির দাম বাড়ার সময় না। সরকারের স্টকে অনেক চিনি মজুদ রয়েছে। কিছুদিন পর নতুন চিনি আসবে। স্টক কমানোর জন্যই মূলত আমদানি কমানোর চিন্তা করেছে সরকার। এ কারণে আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। আর স্টকের চিনির দামও বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে চিনির দাম সমন্বয় করতেও পণ্যটির দাম বাড়ানো হতে পারে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি কমেছে চিনি ও গুড়া দুধের দাম। ##
×