ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে পদক পাচ্ছেন তোয়াব খান, মফিদুল হকসহ ১৬ জন

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একুশে পদক পাচ্ছেন তোয়াব খান, মফিদুল হকসহ ১৬ জন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাংবাদিক তোয়াব খান, সাহিত্যিক হায়াৎ মামুদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৬ জন ২০১৬ সালের একুশে পদক পাচ্ছেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া (মরণোত্তর), ডা. সাইদ হায়দার ও ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ একুশে পদক পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধে এ বছর একুশে পদক পাচ্ছেন মফিদুল হক। সাংবাদিকতায় এ পদক পাচ্ছেন দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান। ভাষা ও সাহিত্যে জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদ ও হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবার একুশে পদক পাবেন। শিল্পকলায় জাহানারা আহমেদ (টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনয়), পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী (শাস্ত্রীয় সংগীত), শাহীন সামাদ (সংগীত), আমানুল হক (নৃত্য) পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া শিল্পকলায় কাজী আনোয়ার হোসেন (চিত্রকলা) মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন। গবেষণায় একুশে পদক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং মংছেন চীং মংছিনকে ২০১৬ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে পদক তুলে দেবেন। নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ এক লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। তবে এবার অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে দু’লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।
×