ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদে মান্দায় মানববন্ধন

প্রাইভেট না পড়ায় ২০ শিক্ষার্থীর বই কেড়ে নিলেন শিক্ষকরা

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রাইভেট না পড়ায় ২০ শিক্ষার্থীর বই কেড়ে নিলেন শিক্ষকরা

প্রাইভেট না পড়ায় মান্দা উপজেলার মৈনম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ২০ শিক্ষার্থীর বই কেড়ে নিয়েছেন শিক্ষকরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন অভিভাবক মহল ও এলাকাবাসী। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় মৈনম সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে অভিভাবকসহ স্থানীয় সুধীমহল। সমাবেশ থেকে ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। পরে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষকদের বদলির আশ্বাস প্রদান করলে কর্মসূচী স্থগিত করা হয়। শিক্ষার্থী অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, ওই শিক্ষকদের নিকট প্রাইভেট না পড়ায় পঞ্চম শ্রেণীর ২০ শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই সোমবার কেড়ে নেন প্রধান শিক্ষক আনজু আরা খানম। ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি শুরু করে। অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মাঝে এ ঘটনায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ওইদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানালে শিক্ষার্থীদের কেড়ে নেয়া বই ফেরত দেন শিক্ষকরা। অভিভাবক সুকুমার চন্দ্র ঘোষ, ফজলুর রহমান মোল্লা, আব্দুল খালেক, জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হক ও শিক্ষক রানার কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন প্রধান শিক্ষক আনজু আরা খানম। কিন্তু তা না করে অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের অন্যত্র প্রাইভেট পড়ার ব্যবস্থা করেন। এতে প্রধান শিক্ষক আনজু আরা ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের বইগুলো কেড়ে নেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন মীর সুজন আলী, এবিএম হাসান রিপু, শফিকুল ইসলাম মুকুল, গৌতম চন্দ্র ঘোষ, আহাদ আলী, সুবল চন্দ্র কবিরাজ, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ও রেজাউল করিম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ উপজেলার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয়দের দাবির মুখে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্রুত বদলির আশ্বাস প্রদান করা হলে পরবর্তী কর্মসূচী স্থগিত করে সচেতন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অবিলম্বে ওই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষককে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা করা হবে।
×