ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা আর নেই

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা আর নেই

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুশীল কৈরালা (৭৭) আর নেই। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫০ মিনিটে কাঠমা-ুর শহরতলীর মহারাজগঞ্জে নিজের বাড়িতে তিনি মারা যান বলে নেপালী কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ মানসিংহ জানান। কৈরালার ডাক্তার কাবেরিনাথ যোগী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রংকাইটিস রোগে ভুগছিলেন। গত সপ্তাহে তার নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এএফপির। কাঠমা-ুর টিচিং হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক যোগী আরও বলেন, তার চিকিৎসা চলছিল এবং সোমবার পর্যন্ত তার অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু স্থানীয় সময় সোমবার এগারোটার দিকে আকস্মিকভাবে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। নেপালের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালী কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কৈরালা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংবিধান প্রণয়নের কাজ শেষ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। কৈরালার স্বাস্থ্য সবসময়ই খারাপ ছিল। ২০১৪ সালে ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য তাকে রেডিওথেরাপি নিতে হয়। এছাড়া ১০ বছর আগে জিহ্বার ক্যান্সারের জন্য তার অস্ত্রোপচার হয়। অকৃতদার এই রাজনীতিবিদ তার সাধারণ জীবন যাপনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। নেপালের রাজনীতিতে প্রভাবশালী কৈরালা পরিবারে ১৯৩৯ সালের ১২ আগস্ট সুশীল কৈরালার জন্ম। তার চাচাত ভাইদের মধ্যে মাতৃকা প্রসাদ কৈরালা, গিরিজা প্রসাদ কৈরালা ও বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালাও দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত শতাব্দীর ষাটের দশকের শুরুতে রাজা নেপালের ক্ষমতা নেয়ার পর দীর্ঘ ১৬ বছর রাজনৈতিক নির্বাসনে কাটাতে হয় সুশীল কৈরালাকে। ১৯৭৩ সালে বিমান ছিনতাইয়ের এক ঘটনায় তাকে তিন বছর ভারতের কারাগারেও থাকতে হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর নেপালের পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে সুশীল কৈরালা হেরে গেলে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হন খাগড়া প্রসাদ শর্মা অলি। সুশীল কৈরালার মৃত্যুর খবরে মঙ্গলবার সকালে তার বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অলি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, নেপালী কংগ্রেস একজন অনেক বড় নেতা হারাল, আর ভারত হারাল একজন বন্ধুকে।
×