ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খায়রুল হক ও শামসুদ্দিন বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করছেন ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

খায়রুল হক ও শামসুদ্দিন বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করছেন ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচারপতি খায়রুল হক ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে থাকলে আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী কার মুখপাত্র ছিলেন, এটা গোটা দেশবাসী জানে। তিনি বলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী আদালত প্রাঙ্গণকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচী বাস্তবায়নের কেন্দ্র বানানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। সেটা যখন সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছেন না, তাই খেদ হচ্ছে। মানুষের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলেই এ আক্রমণ। রিজভী বলেন, আজ যখন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ন্যায্য কথা বলছেন, সত্য, সংবিধান এবং আইনের শাসনের কথা বলছেন, তখন তা সহ্য করতে পারছেন না বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ দেশে ব্রিটিশ আমল থেকে উচ্চতর আদালত কখনও এত বিতর্কিত হয়নি। এটা করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ও বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর কথা শুনলে মনে হবে কোন বোধ, বুদ্ধি বিচারসম্পন্ন মানুষের কথা এগুলো নয়। এর কারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে মানুষের রোষানলে পড়েন। এখন প্রধান বিচারপতি যখন ন্যায় ও আইনের পক্ষে কথা বলেন, তখন তা সহ্য হচ্ছে না। বিচারঙ্গনকে কলুষিত করেছেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পূর্তিতে এক বাণীতে বিচারপতি এস কে সিনহা অবসরে যাওয়ার পর বিচারকদের রায় লেখাকে ‘সংবিধান পরিপন্থী’ বললে এ নিয়ে নানামুখী আলোচনার সূত্রপাত হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও বিএনপি নেতারা তাতে জোর সমর্থন দিয়ে বলে আসছেন, বিচারকের অবসরের পরে রায় লেখা হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের রায়ও অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে। সোমবার সুপ্রীমকোর্টের মাজার গেটের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা রায় লিখতে পারবে না, এ কথা বহু আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন। প্রধান বিচারপতি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে বিএনপির এজেন্ডা চরিতার্থ করার জন্য এটা বলেছেন। উনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।’ রিজভী বলেন, শাসকদলের আন্দোলনের ফসল মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকারও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দুর্নীতিপরায়ণ বানাতে পারেননি। অথচ দুর্নীতির বরপুত্র বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতা বলে মামলা দিয়ে মাহমুদুর রহমানকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটকে রেখেছে। দেশের বিচার ব্যবস্থায় ন্যায় বিচারের পরিসর দিন দিন সংকীর্ণ হয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি এমকে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, শওকত মাহমুদ, আবদুল মান্নান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির কারাবন্দী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিয়ে তাদের মুক্তি দেয়ারও দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, দলের কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
×