ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জানুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্যে ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। খাদ্য পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্যে বহির্ভূত পণ্যেও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্যে ৫ শতাংশ। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী এসব তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন শাক-সবজিসহ সকল জিনিসের দাম কম রয়েছে। ফলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আশা করছি আগামী মাসে আরও মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশে , যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশে, যা তার আগে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্যে ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। নবেম্বরে শুরু হচ্ছে ‘৪র্থ বাপা ফুড প্রো’ স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চলতি বছরের নবেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘৪র্থ বাপা ফুড প্রো বাংলাদেশ ২০১৬’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী ওই মেলায় বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি ও বিজনেস ম্যাচিং সেশনের আয়োজনও রয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞগণ সেশন দুটিতে অংশ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনার ফলে এ খাতে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা আয়োজনের এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং এক্সিবিশন এ্যান্ড সল্যুশন লিঃ-এর উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বাপার ৪৯৭টি সদস্য বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে খাদ্য রফতানি করে চলছে। রফতানি বৃদ্ধির পেছনে মেলা আয়োজনের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। ২৪ থেকে ২৬ নবেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
×