ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস রবিবার দেশের উভয় পুঁজিবাজার সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে এক দিনের সূচকের সামান্য উত্থানের পরই আবারও পতনের কবলে পড়ল পুঁজিবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ১৯ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৩৪ পয়েন্ট। তবে উভয় বাজারেই দিনটিতে শেয়ার কেনা-বেচা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। সার্বিকভাবে মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ লেনদেন করেছে খাতটি। রবিবারও খাতটি মোট লেনদেনের এক-চতুর্থাংশ দখল করেছিল। সোমবারের বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতা সোমবারও স্বল্প মূলধনী কোম্পানির অস্বাভাবিক চাহিদা দেখা গেছে। এছাড়া দিনটিতে বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির দর হারিয়েছে। বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোনের আগের তুলনায় লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণও কমেছে। ফলে সার্বিক লেনদেনে কোম্পানিটি ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও সূচকে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারেনি। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে লেনদেন শুরুর পরই সূচকের কিছুটা উর্ধগতি ছিল। কিন্তু বেলা ১১টার পরই সূচকের তীর নিচের দিনে নামতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা দেয়। তবে শেয়ার কেনা-বেচা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছিল। দিনশেষে সোমবারে ডিএসইতে ৩৪০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩১৮ কোটি টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টি শেয়ার দর। সকালে দর বাড়লেও দিনশেষে তা আর অব্যাহত থাকেনি। দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১১০ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪২ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- বেক্সিমকো ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আইসিটি, সিটি ব্যাংক, এসিআই ফরমুলেশন, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, এসিআই লিমিটেড, ইউনাইটেড, বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিকে ঢাকার বাজারের মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচক কমেছে। দিনটিতে সকালে সূচক বাড়লেও আস্তে আস্তে তা কমতে থাকে। দিনশেষে সিএসইতে ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬২ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৪৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- আইটিসি, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার, রিজেন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো লিমিটেড, এসিআই ফর্মুলেশন ও ইউনাইটেড এয়ার।
×