ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানিতে আগ্রহী নেদারল্যান্ড

প্রকাশিত: ০২:২৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানিতে আগ্রহী নেদারল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক ॥ নেদারল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, হিমায়িত চিংড়ি, তামাক, প্লাষ্টিক, চামড়াজাত পণ্য এবং ঔষধের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই নেদারল্যান্ড বাংলাদেশ’র এ সকল পণ্য আরো বেশী করে আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ঢাকায় নবনিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়েলিনেয়ার আজ সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ‘অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা’ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের অভূতপূর্ব উন্নতির প্রশংসা করেছেন । তিনি বলেন, তৈরী পোশাক কারখানাগুলো এখন নিরাপদ এবং কর্মবান্ধব। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ক্রেতা গোষ্টি যে ক্ষতি পূরণ দিয়েছে, নেদারল্যান্ড তার মধ্যে অন্যতম। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ওই দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার এবং শিল্প মালিকগণ কারখানার কাজের পরিবেশের উন্নয়ন, ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি এবং কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশিচত করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের অন্যতম বড় বাজার হচ্ছে নেদারল্যান্ড এ কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের পরিক্ষীত ব্যবসায়াকি অংশিদার। ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন কাজের সহযোগিও নেদারল্যান্ড। বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। এ ছাড়া গ্রামীন অবকাঠানো উন্নয়নে নেদারল্যান্ড বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন অভ্যন্তরিন চাহিদার ৯৮ ভাগ ঔষধ তৈরী করছে। বিশে^র ১০৭টি দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে। কারন উন্নত বিশে^ বাংলাদেশের তৈরী ঔষধ গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী ঔষধ নেদারল্যান্ড আমদানি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডের চাহিদা মোতাবেক মানসম্পন্ন ঔষধ রপ্তানি করতেও সক্ষম। তিনি বলেন, ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বর্ধিত হওয়ার কারনে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ সফর বিনিময়ের মাধ্যমে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারবে। এ জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরী পোশাক খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তমত তৈরী পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতের উন্নয়ন, পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, কৃষি পণ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং রপ্তানিতে সহযোগিতা করছে বলে তিনি জানান। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় এবং অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) জহির উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×