ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে তুরস্ক সীমান্তে সিরীয় শরণার্থীদের ভিড়

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে তুরস্ক সীমান্তে সিরীয় শরণার্থীদের ভিড়

অনলাইন ডেস্ক ॥ সিরিয়ার আলেপ্পো নগরী থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার শরণার্থী শনিবার তুরস্ক সীমান্তের কাছে অবস্থান করছে। প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করেই তাদেরকে সেখানে অবস্থান করতে হচ্ছে। এদিকে রিয়াদ ও আঙ্কারাকে সৈন্য পাঠানোর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে দামেস্ক। সিরিয়া সরকার বলছে অপ্রত্যাশিত কোন বিদেশী সৈন্য সিরিয়ায় প্রবেশ করলে তাদেরকে কফিনে করে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, বিদ্রোহী বাহিনীকে সমর্থন দেয়া সৌদি আরব ও তুরস্ক সিরিয়ায় সৈন্য মোতায়েন করতে পারে এ খবরের ভিত্তিতে সিরিয়া তাদেরকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করলো। উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো নগরীতে রাশিয়ার বিমান হামলার সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরীয় সরকারি বাহিনীর প্রচন্ড লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে হাজার হাজার লোক তুরস্ক সীমান্তে এসে জড়ো হয়। বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিনিধি জানান, সিরিয়ার বাব-আল সালামার উল্টাদিকে তুরস্কের অঙ্কুপিনার সীমান্ত ক্রসিং শনিবারও বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, বাব-আল সালামায় প্রায় ২০ হাজার লোক জড়ো হয়েছে। তবে তুরস্কের কিলিস সীমান্ত প্রদেশের গর্ভনর সোলাইমান তাপসিজ বলেন, অন্তত ৭০ হাজার লোক সীমান্তের দিকে যেতে পারে। তিনি জানান, সিরীয় অংশে ৮টি ক্যাম্পে এসব শরণার্থীকে জায়গা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তুরস্কে ২০ থেকে ২৫ লাখ সিরিয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলাথ কাভুসগলো বলেন, সিরীয় শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খোলা রাখার নীতি তার দেশ অব্যাহত রাখবে। আলেপ্পো ভিত্তিক বিদ্রোহীপন্থী সাবা সংবাদ সংস্থার পরিচালক মামুন আল খাতিব বলছে, তুরস্ক সীমান্তে জড়ো হওয়া হাজার হাজার লোক খোলা আকাশের নিচে, রাস্তায় ও মাঠে ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আলেপ্পো ও তুরস্কের মধ্যকার প্রধান সরবরাহ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে তেলের মূল্য, খাদ্যদ্রব্য ও শিশুর দুধের দাম বেড়ে গেছে। ব্রিটেন ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, আলেপ্পোতে সোমবার থেকে সরকারি বাহিনীর অভিযানের পর এ পর্যন্ত ৪৩৫ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭১ জন বেসামরিক নাগরিক। এদের অধিকাংশই রাশিয়ার বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রিয়াদ বলেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বিরুদ্ধে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলে তাতে তারা ইতিবাচক অবদান রাখবে। এছাড়া দামেস্ক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র রাশিয়া বলছে, তুরস্ক সিরিয়ায় সশস্ত্র অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও তুরস্ক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আর এ বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মোয়ালেম বলেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়া সিরিয়া ভূখন্ডে যে কোন স্থল অভিযানকে আগ্রাসী কর্মকান্ড হিসেবে গণ্য করে তাকে তীব্রভাবে মোকাবেলা করা হবে।
×