ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৫০ বছর পর খুঁজে পেলেন মা!

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

৫০ বছর পর খুঁজে পেলেন মা!

অনলাইন ডেস্ক ॥ জন্মের পরপরই জন্মদাত্রী মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান ইভা মে উটিকা। বড় হতে থাকেন অন্য একটি পরিবারে। ত্রিশ বছর বয়সে খুঁজতে থাকেন জন্মদাত্রী মাকে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চাশ বছর পর নিজের প্রকৃত মায়ের কাছে ফিরতে সক্ষম হন ইভা। ইভার বর্তমান বয়স ৮২ আর তার মায়ের বয়স ৯৬। ১৯৩৩ সালে লিনা পিয়ার্স মাত্র তের বছর বয়সে নিউইয়র্কে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের নাম রাখেন ইভা মে উটিকা। পিয়ার্সের বয়স কম হওয়ার কারণে সমাজ কল্যাণ কর্তৃপক্ষ শিশুটির দায়িত্ব নেয়। লং আইল্যান্ডের একটি দম্পতি ইভা মে কে দত্তক নেয়। তার নতুন নাম রাখা হয় বেটি মরেল। আর সে ছিল ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান। বেটি মরেল বলেন, আমি খুব আনন্দের সঙ্গেই বড় হচ্ছিলাম। দত্তক পরিবারটির মধ্যমণি ছিলাম। দত্তক মা-বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমি আমার জন্মদাত্রী মাকে খুঁজতে শুরু করি। বিষয়টা অনেকটা ইটের প্রাচীর ভাঙার মতো ব্যাপার। কারণ এই ব্যাপারে কোনো তথ্যই আমার জানা ছিল না। ত্রিশ বছর বয়সে বেটি মরেল তার আসল পরিবার খুঁজতে শুরু করে। তাকে বলা হয়েছিল তার জন্মদাত্রী মা তাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছে। যখন সে জানতে পারলো যে, তার মা জীবিত আছে তখন সে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিল। বেটি মরেলের নাতনি কিম্বারলি মিচিও নানীকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। গত সেপ্টেম্বরে ঘটে আশ্চর্যজনক সেই ঘটনা। অ্যানচেস্ট্ররি ডটকমের মাধ্যমে বেটি মরেলের এক দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়ের খোঁজ পান মিচিও। আর সে ছিল লিনা পিয়ার্সের আরেক কন্যা সন্তান নাম মিলি হক(৬৫)। বেটি মরেল বলেন, মিচিও এবং আমি তাকে ফোন করি। অবশেষে আমি আমার বোনকে খুঁজে পাই। বোনের সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম তখন মনে হচ্ছিল, একে অপরের কত চেনা। মরেল জানতে পারেন, তার চার বোন এবং দুই ভাই আছে। আর তার মা দিব্যি বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন। পেনসিলভেনিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্টে তার মা থাকেন।
×