ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি

দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ড্যারেন লেহম্যান কি অস্ট্রেলিয়ার ‘জিয়ন কাঠি’? অসুস্থতার জন্য ভারত সিরিজের পুরোটা সময় দলের সঙ্গে থাকতে পারেননি। ঘরের মাটিতে টি২০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ অসিরা হেরেছিল টানা চার ম্যাচে! এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম ম্যাচেও হোঁচট খায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফিতে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে জিততেই হবে- এমন পরিস্থিতিতে ফিরলেন অসি-কোচ, আর তাতেই কি না দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল স্টিভেন স্মিথের দল! ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪ উইকেটের চিত্তাকর্ষক জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১এ সমতা ফেরাল সফরকারীরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮১ রানের ‘ফাইটিং’ স্কোর গড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৪৬.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। দুরন্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা মিচেল মার্শ। হ্যামিল্টনে সিরিজ ফয়সালার শেষ ওয়ানডে রবিবার। টস জিতে ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ৪.২ ওভারেই ৩৫ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ১২ বলে ২৮ রান করে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জীবনের শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলা অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। ৩১ রান করা গাপটিল যখন সাজঘরে ফেরেন ১৫ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ তখন ৮৮। অসি পেসারদের তোপে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ২০৫ রানেই ৭ উইকেট চলে যাওয়ার পর ৮ম উইকেটে মিচেল স্যান্টনার আর এ্যাডাম মিলনে জুটি থেকে আসে মূল্যবান ৬১ রান। যেখানে ২৭ বলে ৩৬ রান করে মিলনে আউট হলেও ৩৯ বলে ৪৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ক্রমশ অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা স্যান্টনার। তবে স্বাগতিকদের স্কোর ২৮১ রানের চ্যালেঞ্জিং অবস্থানে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কেন উইলিয়ামসনের। ৭৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান আসে দলটির আগামীর অধিনায়কের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জস হ্যাজলউড ৩, স্কট বোল্যান্ড, মিচেল মার্শ ও অভিষিক্ত লেগস্পিনার এ্যাডাম জাম্পা নেন ২টি করে উইকেট। জবাবে প্রায় ৩ বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নারের ১১২ রানের ওপেনিং জুটিই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভীত গড়ে দেয়। স্যান্টনারের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন খাজা (৪৯ বলে ৫০)। এরপর আচমকাই হোঁচট খায় সফরকারীরা। ১২২ থেকে ১৪৪ পর্যন্ত যেতে ৪ উইকেট হারায় স্মিথের দল। তবে পঞ্চম উইকেটে শন মার্শের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন দিনের সেরা পারফর্মার ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির মাত্র ২ রান দূরে থাকতে আউট হন ওয়ার্নার, দলের রান তখন ১৯১। আর ৬ রান যোগ করতে ম্যাথু ওয়েড (২) বিদায় নেন। তবে আট নম্বরে নেমে চমৎকার ব্যাট করেছেন জন হেস্টিংস। খেলেছেন ৪৭ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস। তাকে সঙ্গী করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মিচেল মার্শ (৭২ বলে ৬৯*)। ১৪ ওভারে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দু’জন যোগ করেন মূল্যবান ৮৬ রান। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার এটি দলীয় সর্বোচ্চ রান টপকে জয়ের রেকর্ড। সিরিজ শুরুর আগে পরবর্তী কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিদায়ী সেনাপতি ম্যাককুলামকে সেরা উপহারটা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। অকল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে বড় জয়ে সেই পথে এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়েলিংটনে পারলেন না। অধুনিক নিউজিল্যান্ডের সফলতম অধিনায়ককে বিদায় বেলায় ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি উপহার দিতে শেষ ম্যাচটা জিততেই হবে উলিয়ামসনদের।
×