ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহবাগে ডিএসসিসির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শাহবাগে ডিএসসিসির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৫ বছরের ইতিহাসে এমন উচ্ছেদ করেনি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এত বছর যাবত ফুলের ব্যবসা করছি কেউ এভাবে আমাদের সময় না দিয়ে উচ্ছেদ করেনি। আমার কয়েক হাজার টাকার ফুল নষ্ট হলো? কেন ফুল ব্যবসায়ী নেতারা সিটি কর্পোরেশনের লোকদের ম্যানেজ করলেন না? আমাদের ব্যবসা করে বাঁচার জন্য মেয়র কেন স্থায়ী ব্যবস্থা করেন না? শনিবার রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে শাহীনা নামের এক ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী নারী চিৎকার করে এসব কথা বলছিলেন। তবে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, উচ্ছেদের আগে দু’তিন দিন যাবত অবৈধ এসব স্থাপনায় রাখা সকল মালামাল সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও এসব স্থাপনা ও মালামাল না সরানোয় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ফলে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়া মেয়রের নির্দেশেই এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযানে শাহবাগের জাতীয় শিশু পার্কের সামনে, আশপাশে ও শাহবাগ মোড়ে ২ শতাধিক অবৈধ দোকান, বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির অফিস, সরকারদলীয় সাইনবোর্ডধারী শিশুপার্ক ইউনিট আওয়ামী লীগ অফিসসহ ফুল ব্যবসায়ীদের অফিস উচ্ছেদ করা হয়। দুপুরে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। সিটি কর্পোরেশনের দু’টি বৃহৎ আকারের হুইল লোডার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সর্বাত্মক সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দেন ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা উপসচিব খালিদ আহমেদ। এ সময় কয়েক প্লাটুন পুলিশ ও র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কিছু ফুল ব্যবসায়ী উচ্ছেদ বন্ধে প্রতিবাদের চেষ্টা করলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। অভিযানকালে ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা সমিতির পক্ষ থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২ ঘণ্টা সময় চান। কিন্তু আধা ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। উক্ত সময়ের মাঝে অনেকেই তাদের মালামাল সরিয়ে নিলেও কেউ কেউ মেয়রের লোকদের কাছে ফোন করে উচ্ছেদ বন্ধের তদ্বির করতে থাকেন। কিন্তু ডিএসসিসি মেয়রের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ বন্ধের কোন সাড়া না পেয়ে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ সময় এক ব্যক্তি মেয়রের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে তা বোঝাতে মেয়রের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লেমিনেটিং করা বড় ছবি দেখিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে দায়িত্বরতরা আমলে না নিয়ে সকল স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এর আগে শিশুপার্কের ভেতরে অবস্থিত দু’টি রেস্টুরেন্টকে জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়া শিশুপার্কের সামনের ৭০ থেকে ৮০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
×