ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়ায় মন্তব্য বিতর্কিত, নেত্রকোনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:০৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

খালেদা জিয়ায় মন্তব্য বিতর্কিত, নেত্রকোনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কনফেডারেশন করতে চান। আর এ উদ্দেশ্যেই সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসির পর পাকিস্তানের সংসদে যেসব বক্তব্যÑবিবৃতি দেয়া হয়েছিলÑ তিনিও সেসব বুলি আওড়াচ্ছেন। ওই প্রভুদের পরামর্শেই তিনি একাত্তরে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। ভবিষ্যতে আর কাউকে এ ধরণের মন্তব্য করতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে সংসদে আইন পাশ করা হচ্ছে’। শনিবার সকালে তিনি নেত্রকোনা শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্ত্বরে ‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা পরিষদের প্রশাসক মতিয়র রহমান খান, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল আমিন, জিপি এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার এখলাছ আহমেদ কোরাইশী প্রমুখ। বক্তব্যের আগে মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আরও অনেক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হবে। আদালতে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের সন্তানদের ভোটাধিকার দেয়া হবে না। তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী হতে পারবে না। পাঠ্যবইয়ে আরও বেশী করে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল কাহিনী তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের ভূমিকার কথাও অন্তর্ভূক্ত করা হবেÑ যাতে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে। সরকারী-বেসরকারি সব হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে। বহুতল ভবন নির্মাণ করে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে বাসস্থান বরাদ্দ দেয়া হবে। বছরে দু’টি উৎসব ভাতা দেয়া হবে। মৃত্যুর পর সব মুক্তিযোদ্ধার জন্য একই ডিজাইনে কবর নির্মাণ করা হবে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় নাÑ সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে এসব প্রতিষ্ঠানে তালা মাড়তে হবে। পরে মন্ত্রী কেন্দুয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন। এদিকে নেত্রকোনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরুর নাম না থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
×